শুরুতেই তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ৫০ রান হওয়ার আগে আরও এক উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শুরুতেই চার উইকেট হারিয়ে আরব আমিরাতের বিপক্ষে কঠিন চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে একাই টেনে তুলেন আফিফ। ১৫৮ রানের ভদ্রস্থ সংগ্রহ এনে দেন এই অলরাউন্ডার।
টপঅর্ডারের ব্যর্থতার দিনে ভালো করতে পারেননি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও। আউট হয়ে গেলে ১১ ওভারে মাত্র ৭৭ রানে ৫ উইকেট হরিয়ে বসে বাংলাদেশ। সেখান থেকে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানকে সঙ্গে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে বাংলাদেশের রেকর্ড ৮১ রানের জুটি গড়েন আফিফ।
চার নম্বরে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ৫৫ বলে ৭৭ রান করেন এ ২৩ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটার। যেখানে ছিল সাতটি চারের সঙ্গে তিনটি ছয়ের মার। আফিফের ব্যাটে চড়েই মূলত দেড়শ ছাড়ায় বাংলাদেশ। তাই সাত রানের জয়ে তার হাতেই উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার গ্রহণ করে আফিফ জানান, চাপের মুখে খেলতেই ভালোবাসেন তিনি। যার প্রমাণ অনেকবারই দেখা গেছে। বিশেষ করে ২০১৯ সালে ক্যারিয়ারের মাত্র দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে চাপের মুখে ২৬ বলে ৫২ রান করে দলকে জিতিয়ে নিজের শক্ত মনোবলের পরিচয় দিয়েছিলেন আফিফ।
সেদিন থেকে এখন পর্যন্ত অনেকবারই দলের বিপদে চওড়া হয়েছে আফিফের ব্যাট। তিনি নিজেও এটি উপভোগ করেন জানিয়ে বলেছেন, ‘সবসময় চাপের মুখে ব্যাটিং করতে ভালো লাগে। আমি শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করতে চেয়েছিলাম, সফল হওয়ায় ভালো লাগছে।’
তথাকথিত সিনিয়র বলতে যাদের বোঝানো হয় তাদের কেউই নেই চলতি আমিরাত সফরে। তবে এটি নিয়ে ভাবছেন না আফিফ, ‘কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড় না থাকলেও আমাদের ওপর বাড়তি চাপ নেই। আমাদের সবসময় সেরা একাদশই খেলাতে হবে। আশা করি পরের ম্যাচেও আমি রান করতে পারবো।’
পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আফিফ আরও বলেন, ‘শুরুতে উইকেট একটু কঠিন ছিল। বল গ্রিপ হচ্ছিল। টপঅর্ডার ভালো করতে পারিনি, পরের ম্যাচে ইনশাআল্লাহ করবে। এটা সমস্যা না। আমি আর সোহান ভাই ব্যাট করার সময় আস্তে আস্তে উইকেট ভালো হচ্ছিলো দেখে আমরা আরও ভালো ব্যাটিং করতে পেরেছি।’
নিজের ব্যাটিংয়ের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানিয়ে এ বাঁহাতি ব্যাটারের ব্যাখ্যা, ‘লক্ষ্য থাকে উইকেট পড়ে গেলেও স্ট্রাইক রোটেট করি আর বাউন্ডারির জন্য করি। আজও ভিন্ন কিছু হয়নি। আজও গেম প্ল্যান অনুযায়ী চেষ্টা করেছি। আমার মনে হয় উইকেট অনুযায়ী শেষদিকে রান ঠিক ছিল।’