শক্তিশালী ঝড় ফিওনার আঘাতে পূর্ব কানাডায় অনেক গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে। ওই অঞ্চল খালি করা হয়েছে এবং ঝড়ের ফলে উপকূলের অনেক বাড়িঘর ভেঙে ‘সমুদ্রে ধ্বংস স্তুপে’ পরিণত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার বলেছে, ঝড়ের কেন্দ্র এখন সেন্ট লরেন্স উপসাগরে অবস্থান করছে এবং কিছুটা শক্তি হারিয়েছে। এনএইচসি এই অঞ্চলের জন্য হারিকেন এবং গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ের সতর্কতা বাতিল করেছে।
নিউফাউন্ডল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তের শহর পোর্ট অ বাস্কসের জনসংখ্যা ৪ হাজার ৬৭। এ শহরে ঝড়টি আঘাত হানে।
শহরটির মেয়র জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে বাধ্য হন। তিনি শহরের যে অংশে বন্যা দেখা দিয়েছিল এবং রাস্তাঘাট ভেঙে গিয়েছিল সে এলাকা খালি করেন।
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো শনিবার সকালে একটি সরকারি জরুরি প্রতিক্রিয়া দলের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পরিচ্ছন্নতার কাজে সহায়তা করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
ট্রুডো জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য তার শনিবারের যাত্রা বিলম্বিত করেছিলেন। তিনি বলছেন, এখন তিনি আর এই সফরে যেতে পারবেন না। তিনি বলেন, এর পরিবর্তে যত দ্রুত সম্ভব তিনি ঝড়-বিধ্বস্ত অঞ্চল পরিদর্শন করবেন।
এই অঞ্চলে ঝড় অস্বাভাবিক নয় এবং সাধারণত ঝড় খুব দ্রুত এই এলাকা অতিক্রম করে যায়, তবে ফিওনা খুব বড় অঞ্চলকে প্রভাবিত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যদিও জলবায়ু পরিবর্তন ফিওনার শক্তি বা আচরণকে প্রভাবিত করেছে কিনা তা বিজ্ঞানীরা এখনো নির্ধারণ করতে পারেননি। তবে শক্তিশালী প্রমাণ রয়েছে যে, এই ধ্বংসাত্মক ঝড়গুলো আরও তীব্র হচ্ছে।