ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৫৩তম সমাবর্তন ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এবার সাত কলেজের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করবেন সমাবর্তনে, কিন্তু দেওয়া হবে স্ক্রিনে সমাবর্তন।
সমাবর্তনের সংবাদে শতকরা ১০০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫ জন শিক্ষার্থী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও বিপরীতে ৯৫ জন শিক্ষার্থী প্রকাশ করছেন হতাশা।
বৃহস্পতিবার সাত কলেজের সমাবর্তনের সংবাদ চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এমন হতাশার চিত্র দেখা যায়। কেউ কেউ ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন, আবার কেউ কেউ দিয়েছেন সমাবর্তন বর্জনের হুংকার।
সাত কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা বলছেন, সাত কলেজের সমাবর্তন আলাদা একদিন আয়োজন করা হোক। যেখানে রাষ্ট্রপতি, শিক্ষামন্ত্রী এবং একজন সমাবর্তন বক্তা উপস্থিত থাকবেন। এটাই সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সমাবর্তনের ক্ষেত্রে প্রাণের দাবি।
ঢাবির বর্তমানে মোট ১৩৪টি এফিলিয়েটেড/কনস্টিটিউয়েন্ট কলেজ/ইনস্টিটিউট আছে। সাত কলেজের আলাদা সমাবর্তন হলে ১২৭টি থেকে যতজন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে, শুধু সাত কলেজ থেকে এর দ্বিগুণ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।
মো. সুরুজ্জামান সুরুজ নামের সরকারি বাঙলা কলেজের একজন শিক্ষার্থী বলেন, এ রকম অনলাইনের সমাবর্তন মানতে আমাদের খারাপ লাগে। সাত কলেজের প্রত্যেকের উচিত এবারের সমাবর্তন বয়কট করে প্রতিবাদ জানানো। স্ক্রিনে সমাবর্তনের থেকে নিজ নিজ কলেজে সমাবর্তন করা অনেক বেশি সম্মানের। সাত কলেজের জন্য প্রজেক্টরের মাধ্যমে ঢাবির এমন লোক দেখানো সমাবর্তনকে না বলাই শিক্ষার্থীদের জন্য শ্রেয়।
সরকারি ইডেন মহিলা কলেজের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী স্বর্ণা মন্ডল বলেন, সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করে কী আর হবে। তারা দাম দেবে না এক শতাংশও, ফের অংশগ্রহণ করতে হবে স্ক্রিন সমাবর্তনে। তাদের কাছে সাত কলেজের কোনো দাম নেই। শুনতে আমাদের খারাপ লাগলেও এটাই এখন বাস্তব চিত্র।
সাত কলেজ সমন্বয়ক ও ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য্য বলেন, সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাবির অধীনে এর আগেও ৫২তম সমাবর্তনে স্ক্রিনের মাধ্যমে সমাবর্তনে অংশ নিয়েছিল। একইভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তননেও সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা প্রজেক্টের মাধ্যমে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। তবে এ বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করব।
তিনি আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তুলনায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কয়েকগুণ হওয়ায় ভিন্ন ভিন্ন ভেন্যুতে আয়োজন করা হবে এবারের সমাবর্তন।
প্রসঙ্গত, অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা সমাবর্তনে ঢাকা কলেজ ভেন্যু থেকে ঢাকা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজের গ্র্যাজুয়েটরা অংশ নিয়ে থাকেন। ইডেন মহিলা কলেজ ভেন্যু থেকে ইডেন মহিলা কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের গ্র্যাজুয়েটরা ডিজিটাল প্রযুক্তিতে ভিডিও কনফারেন্সে সমাবর্তনে অংশ নিয়ে থাকে।