শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংবর্ধনার জন্য ছুটি দেওয়া যাবে না। সংবর্ধিত ব্যক্তিকে সম্মান প্রদর্শনের নামে শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করানো যাবে না। সরকারি কর্মকর্তার পরিদর্শন উপলক্ষেও কর্তৃপক্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করতে পারবে না। এসব বিষয় উল্লেখ করে ২০২৩ সালের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট ৭১ দিন ছুটি নির্ধারণ করে শিক্ষাপঞ্জি অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে ছুটির তালিকা চূড়ান্ত করেছে।
শিক্ষাপঞ্জিতে দেখা গেছে, পবিত্র রমজান, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস (২৬ মার্চ), ইস্টার সানডে, বাংলা নববর্ষ, শবে কদর, ঈদুল ফিতর ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশের জন্য মোট ২৬ দিন, দুর্গাপূজা, লক্ষ্মী পূজা এবং প্রবারণা পুর্নিমায় পাঁচ দিন, বিজয় দিবস, যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন (বড়দিন) এবং শীতকালীন অবকাশের জন্য ১৩ দিন ছুটি নির্ধারণসহ মোট ৭১ দিন আগামী বছরের জন্য ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, শবে বরাতের ছুটি নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে। এর বাইরে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সংরক্ষিত তিন দিন ছুটি নির্ধারিত রয়েছে।
অন্যদিকে আগামী বছর একাদশ শ্রেণির ক্লাস ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে ২৬ জানুয়ারির মধ্যে এ স্তরের ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে বলা হয়েছে। বার্ষিক পরীক্ষা ১৬ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্টের মধ্যে শেষ করা হবে। দ্বাদশ শেণির নির্বাচনী পরীক্ষা ৩০ এপ্রিল থেকে ১৫ মে শেষ হবে।
ছুটির দিনপঞ্জিতে আরও বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মকর্তার পরিদর্শন উপলক্ষে প্রতিষ্ঠান ছুটি দেওয়া যাবে না। সংর্বধনা/পরিদর্শন উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বন্ধ করা যাবে না। সংবর্ধিত/পরিদর্শনকারী ব্যক্তির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করানো যাবে না। জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ দিবস ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৭ মার্চ, ২৬ মার্চ, ১৫ আগস্ট ও ১৬ ডিসেম্বর ক্লাস বন্ধ থাকলেও সংশ্লিষ্ট দিবসের বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দিবসটি উদযাপন করতে হবে।