সাফ বিজয়ী নারী ফুটবলাররা বাংলাদেশকে এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছে দেয়ার পর বুধবারই ফিরছেন দেশে। বুধবার দুপুর পৌনে ২টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাটি স্পর্শ করবে বিজয়ী নারী ফুটবলারদের বহনকারী বিমান।
সাফ বিজয়ী নারী বুটারদের বরণ করে নিতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। বুধবার ২.৫০ মিনিটে বিমানটি ল্যান্ড করার পর থেকে মতিঝিলস্থ বাফুফে ভবনে নিয়ে আসা পর্যন্ত কী কী করা হবে, কোন রুটে নিয়ে আসা হবে ছাদখোলা বাসটি, তা নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রনয়ন করা হয়েছে।
আজ দুপুরে বাফুফের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। সেখানেই ঠিক করা হয়, কিভাবে বরণ করা হবে নারী ফুটবলারদের, কোন পথে নিয়ে আসা হবে তাদেরকে- তার বিস্তারিত রোডম্যাপ।
আজ বিকেলে বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের পর এসব নিয়ে কথা বলেন সেক্রেটারি আবু নাইম সোহাগ। তিনি জানিয়েছেন, আন্ত-মন্ত্রণালয় বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বাফুফে কর্মকর্তাদেরও। সেখানেই বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এ ব্যাপারে এবং তারা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করেই বিমানবন্দর থেকে বাফুফে ভবনে আসার একটা রোডম্যাপ তৈরি করেছেন। যা ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে।
বাফুফে সেক্রেটারি বলেন, ‘১টা ৫০মিনিটে বিমান থেকে নামবে চ্যাম্পিয়ন নারী ফুটবলাররা। সেখানে উপস্থিত থাকবেন- প্রতিমন্ত্রী মহোদয় (জাহিদ আহসান রাসেল), যুব ও ক্রীড়া সচিব এবং মন্ত্রণালয় ও বাফুফে কর্মকর্তারা। তবে সেখানে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন উপস্থিত থাকবেন না। তিনি থাকবেন বাফুফে ভবনে।
আবু নাইম সোহাগ আরও বলেন, ‘বিমান থেকে নেমে আসার পর প্রতিমন্ত্রী মহোদয় তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করবেন, মিষ্টিমুখ করাবেন। এরপর অনুষ্ঠিত হবে একটি সংক্ষিপ্ত প্রেস কনফারেন্স। সেখানে ফুটবলাররা তাদের অনুভূতির কথা জানাবেন।’
বাফুফে সেক্রেটারি বলেন, ‘আপনারা এরই মধ্যে জানেন, ছাদখোলা বাসে করে বিজয় উদযাপনের ব্যবস্থা করেছে মন্ত্রণালয। সেই বাসকে ব্র্যান্ডিং করা হচ্ছে, সাউন্ড সিস্টেম থাকবে। যেখানে বাজানো হবে ফুটবল এবং স্পোর্টস রিলেটেড গানগুলো। সেই বাসে করেই বীর নারী বুটার্সরা বাফুফে ভবনে আসবেন।’
বাফুফে ভবনে আসার রুট নিয়ে ট্রাফিক ডিভিশনের সঙ্গে কথা বলে ফাইনাল করা হবে জানিয়ে বাফুফে সেক্রেটারি পুরো রুটটাই জানিয়ে দিলেন। তিনি বলেন, ‘বিমানবন্দর থেকে কাকলি হয়ে মহাখালি ফ্লাইওভার ব্যবহার করে জাহাঙ্গীর গেট, পিএমও অফিসের পর বিজয় স্মরণীতে এসে হাতের বাঁয়ে চলে যাবো আমরা। সেখান থেকে তেজগাঁও হয়ে পুনরায় ফ্লাইওভার দিয়ে মৌচাক হয়ে কাকরাইলে আসবো। কাকরাইল থেকে হাতের বাঁয়ে- ফকিরাপুল, আরামবাগ এবং মতিঝিল ও শাপলা চত্ত্বর হয়ে বাফুফে এসে পৌঁছাবো বাফুফে ভবনে।’
এ পর্যায়ে নারী ফুটবলারদের বরণ করবেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। আবু নাইম সোহাগ বলেরন, ‘বাফুফে ভবনে উপস্থিত থাকবেন সভাপতি (কাজী সালাউদ্দিন)। মেয়েরা আসার পর তাদেরকে ফুলের স্টিক দিয়ে তিনি বরণ করে নেবেন। এরপর ফটোসেশন হবে। এখানেও হতে পারে একটি সংবাদ সম্মেলন। এরপর অফিসিয়ালি আপাতত রিসিপশনটা শেষ হবে। বাকি আরও বড় কোনো সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে কি না তা নির্ধারণ করবেন বাফুফে সভাপতি এবং কার্যনির্বাহী কমিটি।’