এশিয়া কাপে সুযোগ পাননি পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টির অভিজ্ঞ তারকা শোয়েব মালিক। টুর্নামেন্টে বাবর আজমের দলের ব্যাটিং ব্যর্থতার পর ধারণা করা হচ্ছিল— টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে ফেরানো হবে শোয়েবকে।
মিডলঅর্ডারের হাল ধরতে এ মুহূর্তে শোয়েব মালিকের বিকল্প নেই বলেও মনে করেন অনেক বিশ্লেষক। কিন্তু তারুণ্যনির্ভর দল গড়ার অজুহাতে বিশ্বকাপ দলেও স্থান জুটেনি স্পিন-অলরাউন্ডারের।
উল্টো প্রশ্ন উঠেছে— ৪০ বছরে পা রাখা শোয়েব মালিককে কি অবসরে পাঠিয়ে দিল পিসিবি।
এমন আবহে শোয়েব মালিককে জাতীয় দলে না ফেরানোর বিষয়ে বোর্ডের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ করেছেন পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তাকে প্রাপ্য সম্মান দেবে না বলে আগেই নাকি শোয়েবকে সতর্ক করেছিলেন হাফিজ। তাই ফিট থাকলেও চলতি বছরের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিতে শোয়েবকে পরামর্শ দেন তিনি।
প্রফেসর হিসেবে পরিচিত হাফিজ বলেন, ‘আমি শোয়েব মালিককে আমার সঙ্গে অবসর নিতে বলেছিলাম। কারণ আমি অনুভব করেছিলাম যে, পিসিবি ওকে ওর প্রাপ্য সম্মান দেবে না। কারণ এটি আমার ক্ষেত্রেও ঘটেছে। ২০১৯ বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে শোয়েবকে বাদ দেওয়ায় আমি হতাশ হয়েছিলাম। ওর কিন্তু একটি সম্মানজনক বিদায় প্রাপ্য ছিল। অন্তত একটি ম্যাচ খেলে সে সম্মানজনক বিদায় চাইছিল। কিন্তু তাও হচ্ছে না। ক্রিকেট এমনই নিষ্ঠুর।’
শোয়েব মালিকের প্রশংসায় হাফিজ বলেন, মালিক প্রায় ২১-২২ বছর ধরে পাকিস্তানকে তার সেরাটা দিয়েছে। এই দীর্ঘ সময় ধরে ফিটনেসের সর্বোচ্চ মান বজায় রাখা একজন ক্রিকেটারের জন্য একেবারেই অসাধারণ।
৫০ ওভারের সীমিত ফরম্যাট থেকেও ভালো বিদায় পাননি শোয়েব মালিক – এমনটাই দাবি হাফিজের।
এ অলরাউন্ডার বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, ওডিআই ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিলেও বিদায়ী ম্যাচ খেলতে দেওয়া হয়নি তাকে। পাকিস্তান ক্রিকেটে তার অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতায় ম্যাচটি দেওয়া উচিত ছিল পিসিবির। আসলে ক্রিকেটারদের বিদায় জানানোর ক্ষেত্রে আমাদের ম্যানেজমেন্ট সবসময়ই অনীহা দেখিয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে জাতীয় দলে সুযোগ পাননি শোয়েব মালিক।