প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের হয়ে লিওনেল মেসির এবারের মৌসুমটি দারুণ কাটছে। নিয়মিত গোল পাচ্ছেন, গোল করাচ্ছেন। প্যারিসের দলে সেই বার্সার মেসি।
গত সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যাকাইবা হাইফার বিপক্ষে উয়েফা গোল পান লিওনেল মেসি। এবার অলিম্পিক লিওনের বিপক্ষে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের ম্যাচেও প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে সক্ষম হলেন আর্জেন্টাইন জাদুকর।
ম্যাচ শুরুর ৫ মিনিটের মাথাতেই দুর্দান্ত এক গোলে পিএসজিকে লিড এনে দেন মেসি। ওই গোলেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পিএসজি।
১-০ জয়ে পর এককভাবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে লিগ ওয়ানের চ্যাম্পিয়নরা।
মেসির এই গোলে বন্ধু নেইমারের কৃতিত্ব না দিলে অন্যায় হবে নিশ্চিত।
লিওনের মাঠে খেলতে নেমে ম্যাচের শুরুতেই দারুণ বোঝাপড়ার প্রদর্শনী করেন মেসি ও নেইমার। প্রতিপক্ষের কয়েকজন ডিফেন্ডারকে ব্যস্ত রেখে নেইমারকে বল এগিয়ে দেন মেসি। নেইমারও দারুণ এসিস্ট করেন। একে ফিরতি বলই বলা যায়। নেইমার থেকে পাওয়া বল বাম পায়ের নিখুঁত শটে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন সাতবারের ব্যালন ডি অরজয়ী তারকা।
ম্যাচের ১৪ মিনিটে দুর্দান্ত শট নেন মেসি। কোনোমতে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান লিওনের গোলরক্ষক। পরের মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পের একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন গোলরক্ষক।
এভাবেই সবমিলিয়ে গোটা ম্যাচে ১৫টি শট নেয় পিএসজি। যার মধ্যে ৮টিই থাকে লক্ষ্য বরাবর। কিন্তু মেসির ঐ প্রথম গোল ছাড়া বল আর জালে প্রবেশ করতে দেননি অলিম্পিক লিওনের মহাপ্রাচীর।
ম্যাচের শেষদিকে অবশ্য ভাগ্য সহায় হয়নি মেসির। নইলে ব্যবধান দ্বিগুন করতে পারতেন এ আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে মেসির ফ্রি-কিক ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে। ফিরতি বলে হেডে বল জালে জড়ান সার্জিও রামোস। কিন্তু অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায় সেই গোল।
মেসির একমাত্র গোলে পাওয়া জয়ের সুবাদে ৮ ম্যাচে সাত জয় ও এক ড্রয়ে ২২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে পিএসজি। সমান ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে রয়েছে মার্শেই। ১৩ পয়েন্ট নিয়ে লিওনের অবস্থান ষষ্ঠ।