পাকিস্তানের জার্সি গায়ে চড়িয়ে খেলেছেন প্রায় ১১ বছর। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে ওয়াসিম আকরামের দলকে ফাইনালে তোলার অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি, ছিলেন দেশটির ২০০০ এশিয়া কাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ একজনও। সেই আজহার মাহমুদই কিনা এবার হতে পারেন দলটির ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’!
৭ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ড দল এখন অবস্থান করছে পাকিস্তানে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে করাচিতে শুরু হবে এই সিরিজ। এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ইংল্যান্ড যাত্রা করবে অস্ট্রেলিয়ায়।
বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানের মাটিতে আবারও পা রাখবে ইংলিশরা। তখন দলটি পাকিস্তানে খেলবে ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ, যা আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ।
নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালামের অধীনে ক্রিকেটের দীর্ঘতম ফরম্যাটে নতুন একটা চেহারাই তৈরি হয়েছে ইংলিশদের। ঘরের মাঠে ৭ ম্যাচের ৬টিতেই জিতেছে দলটি।
ক্রিকেটের দীর্ঘতম ফরম্যাটের জন্য ম্যাককালামকে কোচ করলেও ইংলিশদের বোলিং কোচের পদটি এখনো ফাঁকাই পড়ে আছে। পাকিস্তান সিরিজেও খণ্ডকালীন কোচ দিয়েই কাজ সারবে ইংলিশরা, এমনটাই জানাচ্ছে ইংলিশ সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মেইল।
সেখানে বলা হচ্ছে, সাবেক পেসার জন লুইস দলটির অস্থায়ী বোলিং কোচ হয়ে যেতে পারেন পাকিস্তান সফরে। এছাড়াও বাংলাদেশের সাবেক বোলিং কোচ ওটিস গিবসন, হ্যাম্পশায়ারের বোলিং কোচ গ্রায়েম ওয়েলচকেও ভাবা হচ্ছে এই পদের জন্য।
তবে এই তালিকায় আছে আজহার মাহমুদের নামও। কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা তো আছেই, আজহারের এই পদে আসার বড় সহায়ক হতে পারে পাকিস্তানের কন্ডিশন। সে দেশে জন্ম তার, হাতের উল্টো পিঠের মতোই যে চেনেন পাকিস্তানের কন্ডিশনকে!
পাকিস্তানের বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। কাজের অভিজ্ঞতা আছে ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি দলের সঙ্গেও। ফলে পদটা পেয়ে গেলেও যেতে পারেন তিনি। সেটা হয়ে গেলে যে পাকিস্তানের ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’ হয়েই দেশে পা রাখবেন আজহার, তা বলাই বাহুল্য।