যেই দুটি শর্তে দুর্নীতির মামলায় সাজা স্থগিত রেখে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার সাময়িক মুক্তি দিয়েছে, সেই দুই শর্তেই আরও ৬ মাস তার মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার। এ বিষয়ে শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক রবিবার বিএনপিনেত্রীর মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো বাড়ছে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দিন আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ ৬ মাস বাড়াতে সম্মতি দিয়েছি। তবে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না এবং বাসায় থেকে তাকে চিকিৎসা নিতে হবে। এখন সরকার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে।’
খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ ২৬ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠবারের মতো খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত চেয়ে তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করে পরিবার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ আবেদন দেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার।
দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছর দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। আদালতের রায়ের পর দুই বছরের বেশি সময় কারাভোগ করেন। দেশে মহামারি করোনাভাইরাস শুরু হলে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে তাকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। পরে ফৌজদারি কার্যবিধিতে সাজা স্থগিত দেখিয়ে মোট পাঁচ দফায় বিএনপিনেত্রীর সাময়িক মুক্তির মেয়াদ বাড়ায় সরকার।
বিএনপি চেয়ারপারসন বর্তমানে ঢাকার গুলশানে তার ভাড়া বাসা ‘ফিরোজায়’ থাকছেন। ৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন।