জাপানের দিকে ধেয়ে আসছে বড় আকারের শক্তিশালী ঘূণিঝড় ‘নানমাদোল’। আগামী রোববার সেটি ভূমিতে আঘাত হানতে পারে। এরইমধ্যে জাপানের কিউশুর দক্ষিণ দ্বীপের কিছু অংশ থেকে শনিবারই মানুষকে সরানোর আহ্বান করেছে দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর। একইসঙ্গে ট্রেন ও বিমানের ফ্লাইট বাতিল করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর ঘূণিঝড় সংকেতকারী সংস্থা এটিকে সুপার টাইফুন বা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে বিবেচনা করছে। এটির নাম দেওয়া হয়েছে নানমাদোল।
সংস্থাটি বলছে, জাপানে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ধ্বংসাত্বক ঘূণিঝড় হতে পারে নানমাদোল।
জাপানের আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, শনিবার সন্ধ্যার দিকে উচ্চ ঢেউ ও ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে, তাই জাপানের সবচেয়ে দক্ষিণের প্রধান দ্বীপ, কিউশুর বিভিন্ন অংশ ও কাগুশিয়া এলাকায় বিশেষ সতর্কতা জারি করা হতে পারে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ওকিনাওয়া দ্বীপের চেইনের উত্তর এলাকায় এটি প্রথমবারের মতো বিশেষ সতর্কতা জারি করা হতে পারে।
জাপানের আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তা রিউতা কুরোরা এক টেলিভিশন সংবাদ সম্মেলনে জানান, অপ্রত্যাশীত ঝড় ও ভারী বৃষ্টিপাত উল্লেখিত এলাকাগুলোতে আঘাত হাতে পারে। তাই সতর্কতায় থাকা এলাকাগুলো অন্ধকার হওয়ার আগে সেখানকার মানুষকে সরিয়ে নেয়ার আহ্বান করা হয়েছে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, সোমবার কিউশুর দক্ষিণাঞ্চলে ৫০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পরে। আবার টোকিও অঞ্চলে ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে। এরইমধ্যে কিউশুর রেলওয়ে কোম্পানি শনিবার কয়েকটি ট্রেন যাত্রা বাতিল করেছে। কয়েকডজন ফ্লাইটও বাতিল করা হয়েছে।