এ যেন বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো! আচমকা দেখলেন গুগল থেকে অ্যাকাউন্টে কয়েক কোটি টাকা ঢুকেছে! যা দেখে স্বাভাবিক ভাবেই চক্ষু চড়কগাছ এক ব্যক্তির। টাকার অংকটা প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকার মতো। কিন্তু হঠাৎ গুগল কেন এতো টাকা পাঠাল, তা কিছুতেই আন্দাজ করতে পারছিলেন না আমেরিকার ওই ব্যক্তি।
এক সঙ্গে এতো টাকা পেয়ে খানিকটা ঘাবড়েও গিয়েছিলেন আমেরিকার ওমাহা প্রদেশের স্যাম কারি নামের ওই ব্যক্তি। আচমকা এতোগুলো টাকা পেয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে গত বুধবার টুইট করেছেন তিনি। তবে এতো টাকা পেয়েও উল্লসিত হননি তিনি। বরং চিন্তা বাড়িয়েছে তার। তাই তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এক পয়সা খরচও করেননি স্যাম।
টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘তিন সপ্তাহেরও বেশি হয়ে গেল, গুগল আমায় ২ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার পাঠিয়েছে। কোনো কি উপায় রয়েছে গুগলের সঙ্গে যোগাযোগ করার?’ সেই সঙ্গে তিনিও এ-ও লেখেন যে, যদি টাকা ফেরত চান, তাতে কোনো সমস্যা নেই।
নিউজউইকের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গেছে, স্যাম ‘বাগ বাউন্টি হান্টার’ হিসেবে কাজ করেন। গুগ্লের মতো বিভিন্ন সংস্থায় সফটওয়্যারে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ফাঁকফোকর থাকলে তা খুঁজে বার করার কাজ করেন স্যাম। কিন্তু তার এই অপ্রত্যাশিতভাবে অর্থ প্রাপ্তির নেপথ্যে এই কাজের কোনো সংযোগ নেই বলেই জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। এক সাক্ষাৎকারে স্যাম জানান যে, তিনি ওই অর্থ তার কাছেই গচ্ছিত রাখছেন। কারণ যদি গুগ্ল ফেরত চায়, তা হলে তিনি ফিরিয়ে দেবেন। তার কথায়, গুগল যদি তার টুইট-বার্তায় সাড়া না দেয়, তা হলে এই অর্থ অন্য একটি অ্যাকাউন্টে রাখবেন, যাতে এ জন্য কর দিতে না হয়।
এই কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরই নড়েচড়ে বসে গুগল । আদতে ভুলবশত যে ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে তারা টাকা পাঠিয়েছেন, সে কথা জানিয়েছেন গুগল কর্তৃপক্ষ। সংস্থার এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘ভুলবশত আমরা ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে অর্থ পাঠিয়েছি। ওই ব্যক্তিকে সাধুবাদ জানাই যে, তিনি দ্রুত বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। আমরা ভুল শুধরে নেব।’ স্যামের থেকে টাকা যে ফিরিয়ে নেওয়া হবে, সে কথাও জানিয়েছে গুগল।