বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপের শক্তি ও দুর্বলতা

টি-২০ যুগের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ এই ফরমেটে এর উপযোগী ব্যাটসম্যান তৈরি করতে পারেনি। বড় শট খেলার মতো সামর্থ দেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে তেমন একটা দেখা যায় না আর থাকলেও হয়তো তারা মাঠে তার সঠিক প্রয়োগ করতে পারেন না।

কিন্তু এই সময়ে হাতে গোনা কয়েকজন বোলার এসেছেন যারা কখনো কখনো জলে উঠতে পেরেছেন। সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজ, আবদুর রাজ্জাক, অনেক সময় দলকে ভরশা দিতে পেরেছেন।
চলুন দেখে নেই কেমন হলো টি-২০ বিশ্বকাপ দলের বোলিং লাইনআপঃ

অস্ট্রেলিয়ার বাউন্সি পিচ আর বড় মাঠের কারনে একাদশে তিন পেসার খেলানোটা অনেকটা অনুমিতই। যেখানে তাসকিন আর মুস্তাফিজ খেলবেন বলেই ধরে নেয়া যায়। যদিও বর্তমানে মিরপুরের বাইরে মুস্তাফিজ কতটা কার্যকর সেটা বিবেচনার বিষয়। কারন তার ইকোনমি খুবই বেশি।

সেদিক থেকে তাসকিন অটো চয়েস হিসেবেই খেলবেন যদি ফিট থাকেন। তাহলে তৃতীয় পেসার কে হবেন। হাসান মাহমুদ পুরোপুরি ফিট নন তাছাড়া তিনি কতটা কার্যকর হবেন সেটাও প্রমাণিত নয়। এবাদত হোসেনের গতি আছে তবে লাইন ঠিক রাখতেই হিমসিম খান। অতিরিক্ত রান দেন বেশি। এটা একটা চিন্তার বিষয়।

সব শেষে হয়তো সাইফুদ্দিন একটা সমাধান হতে পারেন। ব্যাট হাতেও খারাপ নয়। বড় শট খেলতে পারেন। তবে যে নাম ডাক নিয়ে দলে এসেছিলেন তার প্রমাণ করতে পেরেছেন সামান্যই। এখন দেখার বিষয় কন্ডিশনের সাথে মিল রেখে ম্যানেজমেন্ট কাকে খেলায়

পেস বোলিং নিয়ে সমস্যা থাকলেও স্পিন নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী হতেই পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। সাকিবের সাথে নাসুম, মেহেদী মিরাজ দলকে ভরশা দিতেই পারে। মেহেদী মিরাজ যদি ওপেন করে তাহলে সেটা বাড়তি পাওয়া দলের জন্য

সবশেষে আসন্ন বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভালো করবে এই কামনা দেশবাসীর। আর সেই অগ্রযাত্রায় বোলাররা সামনে থেকে পথ দেখাবে এমনটাই আশা কোটি ক্রিকেট প্রেমির।