কোথাও পারফরম্যান্স না করেও বিশ্বকাপ দলে শান্ত, অথচ দিনের পর দিন উপেক্ষিত ইমরুল রুবেলরা

ইমরুল কায়েস আর রুবেল হোসেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুই আক্ষেপ এর নাম। তামিম ইকবালের সাথে সবচেয়ে বেশি সাবলীল ভাবে ওপেনিং এ খেলেছেন এই ইমরুল কায়েসই। তামিমের পরে বাংলাদেশের আরেক সফল ওপেনার অবশ্যই ইমরুল কায়েস। অফসাইডে তার খেলা শটগুলো চোখে লেগে থাকার মতই। ভি-তে খেলতে পারেন দরকার হলে বড় শটও মারতে পারেন। তার জায়গায় দাঁড়িয়ে ছয় মারা দেখে গেইল তো মজা করেই বলেছেন নতুন গেইল পেয়ে গেছে বাংলাদেশ।

বিপিএল ঘরোয়া লীগ বা সিমীত আসরের যেকোনো টুর্নামেন্টে তিনি নিয়মিতই রান করেন। কোনো এক অজানা কারনে তিন বছর ধরে দলে ডাক পান না ইমরুল কায়েস। অথচ বার বার খারাপ করেও দলে ফিরছেন শান্ত নাঈম সাব্বিরা। তারা কোথায় নিজেদের প্রমাণ করলেন?আর কি ঝলক দেখিয়ে দলে আসলেন তা এক গোলকধাঁধা।

আর রুবেল হোসেন কে নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। মাশরাফির পর তিনিই দেশের সেরা পেসার এতে কোনো সন্দেহ নেই। ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার ওই বল দুটো মনে আছে তো। যাকে বলা যায় বাংলাদেশ ক্রিকেটের সপ্নের ডেলিভারি। বলে গতি ছিলো। ভালো বাউন্স দিতে পারতেন। ইয়র্কারগুলো ছিলো খুবই ভালো। অথচ কয়েকটা ম্যাচ খারাপ করার কারনে তিনিও ২ বছর ধরে দলের বাইরে।

অথচ বর্তমানে খেলছেন এমন পেসারদের তুমনায় রুবেল হোসেন যথেষ্ট ফিট। টেস্টে না হোক ওয়ানডে টি-২০ তে তার এখনো অনেক কিছু দেয়ার আছে। ৪১ বছর বয়সে জিমি অ্যান্ডারসন এখনো দিব্যি টেস্ট খেলে যাচ্ছেন। আর ৩০ পেরুনো রুবেল কে বাতিলের খাতায় ফেলে দেয়া হলো

তাই বিসিবির উচিত ইমরুল কায়েস রুবেল হোসেনদের মতো খেলোয়ারদের সঠিক ভাবে ব্যাবহার করা। সুযোগ পেলে হয়তো আরও অনেক কিছু দিতে পারবে দেশকে। সেই সুযোগ কি পাবেন তারা?নিজেদেরকে আরেকবার প্রমাণের।