ইচ্ছে থাকলেও উপায় নাই বিসিবির কাছে

বাংলাদেশের ক্রিকেটে এখনও মাঠ থেকে বিদায় বলার সংস্কৃতি তৈরি হয়নি। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সূচনালগ্নে তো বটেই, ২০২২ সালে এসেও খেলোয়াড়রা সতীর্থ, প্রতিপক্ষ ও গ্যালারি ভর্তি দর্শকদের শুভেচ্ছায় নিজেদের শেষটা রঙিন করতে পারছেন না। টাইগার ক্রিকেটের কিংবদন্তি মাশরাফি বিন মর্তুজা জাতীয় দল থেকে এক প্রকার অঘোষিত অবসরে আছেন। সর্বশেষ তামিম ইকবাল কিংবা মুশফিকুর রহিমরাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটকে বিদায় বলেছেন। আর বরাবর পর্দার আড়ালে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তো সেই জিম্বাবুয়ের মাটিতে গিয়ে টেস্ট জার্সি তুলে রেখেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খেলোয়াড়দের বিদায় বলাকে ভালো চোখে দেখছেন না জালাল ইউনুস।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কেন অন্য আর দশটা বোর্ডের মতো ক্রিকেটারদের মাঠ থেকে বিদায় জানাতে পারছে না? মুশফিকের অবসর ইস্যুতে সেই প্রশ্নের জটলা খুললেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খেলোয়াড়দের অবসর ঘোষণাকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “এই ধরনের অবসর না হলে ভালো। প্রতিটি দেশে দেখবেন- অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ডে যখন কোনো প্লেয়ার অবসরের সিদ্ধান্ত নেয়, আস্তে আস্তে ক্যারিয়ার তাদের শেষের দিকে চলে আসে তারা কিন্তু ছয় মাস বা এক বছর আগে বলে দেয়, অমুক সিরিজে শেষ ম্যাচ হবে আমার। আমি তারপর অবসরে যাব।”

এরপর তিনি দেশের ক্রিকেটারদের উদ্দেশে বলেন, “কোনো প্লেয়ার যদি মনে করে আমি এতদিন পর্যন্ত খেলব, এই সিরিজের পর অথবা এই সালে আমি অবসরে যাব। তাহলে আমরা সম্মানের সাথে তাদের অবসরটা একসেপ্ট করতে পারি, সম্মানের সাথে তাদের আমরা বিদায় জানাতে পারি।”

জালাল ইউনুসের বক্তব্যে স্পষ্ট, বিসিবির ইচ্ছে থাকলেও হুট করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবসর ঘোষণা করায় সেরকম আয়োজন ছাড়াই দেশের ক্রিকেটের তারকাদের বিদায় বলতে হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “এটা (মাঠ থেকে বিদায়) হয়ে থাকে না, কারণ তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবসরের ঘোষণা দেয়, এতে জিনিসটা বেশ অগোছালো থাকে। তাদের সাথে ভালোভাবে কমিউনিকেশনটাও হয় না তখন। আমরা যদি আগে থেকেই জেনে থাকি, তাহলে যোগাযোগ করলে আমরা ঐভাবে ব্যবস্থা করতে পারি৷ কিন্তু সেই কাজগুলো হচ্ছে না।”