দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের দেয়া ১৮৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নামা লঙ্কানদের প্রথম তিন উইকেট তুলে নেন অভিষিক্ত ইবাদত হোসেন। এবার উইকেটের দেখা পেলেন তাসকিন আহমেদ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪ উইকেটে ৭৭ রান তুলেছে লঙ্কানরা।
এখন ব্যাট করছেন কুশল মেন্ডিস ও দাসুন শানাকা।
রান তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনারের সুবিধা ভালো সূচনা পায় শ্রীলঙ্কা। ওপেনিং জুটিতে আসে ৪৫ রান। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসেই জোড়া উইকেট তুলে নেন ইবাদত। নিজের করা পরের ওভারে ফেরান দানুস্কা গুনাথিলাকাকে। ২০ রানে পাথুম নিশানকা, ১ রানে চারিথ আশালাঙ্কা ও ১১ রানে ফেরেন গুনাথিলাকা।
পরের উইকেটে খেলতে নেমে তাসকিন আহমেদের বলে আউট হওয়ার আগে মাত্র ২ রান করেন ভানুকা রাজাপাকসে।
ম্যাচের শুরুতে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় শ্রীলঙ্কান দলনেতা দাসুন শানাকা। প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় এবার সাব্বির-মিরাজকে একাদশে এনে ওপেনিংয়ে নামিয়ে দেয় টিম ম্যানেজমেন্ট। সাব্বির না পারলেও আস্থার প্রতিদান দেন মেহেদি মিরাজ। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতেই ৫৫ রান পায় বাংলাদেশ।
এদিকে সপ্তম ওভারের খেলায় ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার করা বলে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ২৬ বল খেলে দুটি করে চার ও ছয়ে ৩৮ রান করেন তিনি। পরের উইকেটে খেলতে নেমে ৪ রান করে আউট হন উইকেটকিপার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। এরপর ১৫ বলে ২৪ রান করে আউট হলেন সাকিব আল হাসান।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে দুর্দান্ত খেলতে থাকেন আফিফ হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এ সময় দুজন মিলে মাত্র ৩৭ বলে গড়নে ৫৭ রানের জুটি। তাতেই বাড়তে থাকেন বাংলাদেশের রান। মাত্র ২২ বলে ৩৯ রান করে আউট হন আফিফ। পরের ওভারে ২২ বলে ২৭ রানে আউট হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এরপর ১ রানে আউট হন শেখ মেহেদি হাসান। এরপর তাসকিন আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস শেষ করেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। মাত্র ৯ বলে ২৪ রানে মোসাদ্দেক ও ৬ বলে ১১ রানে তাসকিন অপরাজিত থাকেন।