এশিয়া কাপ ২০২২ এ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান করেছে বাংলাদেশ। সুপার ফোরে জায়গা করে নিতে হলে এখন শ্রীলংকাকে করতে হবে ১৮৪ রান, অন্যদিকে শ্রীলংকা এই রান করার আগেই তাদের আটকে দিতে হবে বাংলাদেশকে।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশকে দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন মেহেদি হাসান মিরাজ। এরপর শেষ দিকে আফিফ হোসেন ও মোসাদ্দেকে হোসেন ঝড় তোলেন। যার ফলে লংকানদের সামনে শক্তিশালী লক্ষ্যমাত্রা দাঁড় করাতে সমর্থ হয় টাইগাররা।
মিরাজ ২৬ বলে ৩৮, আফিফ ২২ বলে ৩৯ রান করেন। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২২ বলে ২৭ রান করেন। এর আগে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ২২ বলে ২৪ রান করেন।
কিন্তু ওপেনার সাব্বির রহমান সুবিধা করতে পারেননি। দলীয় মাত্র ১৯ রানের সময় ৬ বল খেলে ৫ রান করে আউট হয়ে যান সাব্বির। এরপরও নিজের আগ্রাসী মনোভাব বজায় রাখেন আরেক ওপেনার মিরাজ। এর বদৌলতে প্রথম ছয় ওভার অর্থাৎ পাওয়ার প্লেতে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান করে টাইগাররা।
কিন্তু এরপর মাঝে হঠাৎ ছন্দপতন হয়। দলকে দুর্দান্ত সূচনা এনে দেওয়া মিরাজ দলীয় ৫৮ রানের সময় আউট হয়ে যান। তিনি আউট হওয়ার রেশ না কাটতেই উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম মাত্র ৫ বল খেলে ৪ রান করে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন।
এতে হঠাৎ করেই কিছুটা ছন্দপতন হয়। পরবর্তীতে প্রথম দশ ওভারে ৮৫ রান করে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
সাব্বির, মিরাজ ও মুশফিক আউট হওয়ার পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তার সঙ্গে সঙ্গ আফিফ। সাকিব অবশ্য দলীয় ৮৭ রানের মাথায় ফিরে যান।
এরপর পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন আফিফ ও সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাদের জুটি ভাঙে দলীয় ১৪৪ রানের সময়। ওই সময় আউট হন আফিফ। এর কিছুক্ষণ পর দলীয় ১৪৭ রানে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। ওই সময়ই ভালো রান তুলে ফেলে টাইগাররা।
সাত নাম্বারে ব্যাট করতে নামা মোসাদ্দেক হোসেন দলের রানের সংখ্যা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেন। মোসাদ্দেক ৯ বল খেলে ২৪ রান করেন। তাছাড়া পেসার তাসকিন আহমেদ ৬ বলে ১১ রান করে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে ভূমিকা রাখেন।
অন্যদিকে ম্যাচটিতে শ্রীলংকার হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট্ তুলে নিয়েছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও চামিকা করুণারত্নে।