আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফর্ম করতে হলে দক্ষতার পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস এবং মানসিক অবস্থা মাঠের ক্রিকেটে বড় ভূমিকা রাখে। কিন্তু একজন ক্রিকেটারের যখন দলে নিজের জায়গা নিয়ে সংশয় থাকে, তখন পারফর্ম করা তার জন্য আরও কঠিন হয়ে পড়ে এমনটাই ধারণা বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে বড় পরিবর্তন এসেছে। বিশেষ করে এশিয়া কাপের স্কোয়াডে তরুণ পারভেজ হোসেন ইমন যেমন আছেন, তেমনি দলে ফেরানো হয়েছে অভিজ্ঞ সাব্বির রহমানকে। তাদের দলে অন্তর্ভুক্তির বড় একটি কারণ হচ্ছে, নিয়মিত ক্রিকেটারদের অনিয়মিত পারফরম্যান্স।
বিশেষ করে টপ অর্ডারে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে চেষ্টা করেও সমাধান খুঁজে পাচ্ছে না। এখানে চেষ্টা করা হয়েছে একাধিক ক্রিকেটারকে দিয়ে। সর্বশেষ ১৫ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ যতটা ম্যাচ জিতেছে তার চেয়েও বেশ ওপেনারকে একাদশে খেলিয়েছে বাংলাদেশ।
তারপরও এশিয়া কাপের স্কোয়াডে নিয়মিত ওপেনার মাত্র তিনজন। তাদের মধ্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা নাইম শেখ এবং এনামুল হক বিজয় এই দুই ওপেনারই ব্যর্থ হয়েছেন। পরের ম্যাচে টিম ম্যানেজমেন্ট হয়তোবা তাদের একাদশে জায়গা নিয়েও ভাবতে পারে।
শুধুই যে টপ অর্ডার তা কিন্তু নয় মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যাটেও রান খরা। কেউ কেউ রান পেলেও সেটা আবার ধীরগতির ইনিংস। যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রীতিমতো আত্মঘাতী। তাই তাদের ব্যাটিং নিয়ে যেমন সমালোচনা হয়, তেমনি দলে তাদের জায়গায় নর-বড়ে।
সুজন বলেন, ‘আপনার যদি জায়গা হারানোর ভয় থাকে তাহলে আপনি কোনদিনই আন্তর্জাতিক ম্যাচে পারফর্ম করতে পারবেন না। বিশেষ করে এই সংস্করণে (টি-টোয়েন্টি)। টেস্ট ম্যাচে আপনি স্বার্থপর হতে পারেন। আপনি ৩০০ বল খেলে ১০০ করেন, আপনাকে কেউ কিছু বলবে না। তখন সবাই বলবে দারুণ ব্যাটিং করেছে। কিন্তু এই সংস্করণে (টি-টোয়েন্টি) ৩০০ বল খেলে ১০০ করলে তো হবে না। ৩০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করলে তো আমরা জিততে পারবো না খেলায়।’
ক্রিকেটে তিন ফরম্যাটেই ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনা করে খেলতে হয়। টি-টোয়েন্টিতে স্বাভাবকভাবেই আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে হয়। তাই ক্রিকেটারদের মানসিকতা এবং খেলার অ্যাপ্রোচও তেমন হতে হয়। তবে আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে টি-টোয়েন্টি খেললেই যে সফলতা পাওয়া যাবে এমনটাও না।
সুজন বলেন, ‘এই সংস্করণে আমরা যেটা বলি ফিয়ারলেস খেলার কথা, এই কথাটার মানে হচ্ছে এটাই আমরা যাতে ভয়ডর ছাড়া (ক্রিকেট খেলি)। আমি যদি জায়গা (হারানোর) ভয় পাই, যদি দুই ম্যাচ না খেলি..। আমরা কথা হচ্ছে আপনি যদি ইন্টেন্ট দেখিয়ে আউট হন আমরা এটা গ্রহণ করবো। আমার মনে হয় সবাই এখন ক্রিকেট বুঝে, সবাই বুঝবে। কিন্তু আপনি যদি ইন্টেন্ট না দেখান তাহলে মনে হয় আপনার দলে থাকার যোগ্যতাই নেই।’