দক্ষিণ আফ্রিকায় নিজ বাসায় শান্তা ইসলাম (২২) নামে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী সুমন মিয়ার বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে স্বামী সুমন মিয়া পলাতক রয়েছেন। রোববার (২৮ আগস্ট) ঘরের দরজা ভেঙে শান্তার মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের খোকা মাস্টারের ছেলে সুমন মিয়া প্রায় ৮ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় যান। পরবর্তীতে সেখানেই ব্যবসা শুরু করেন। বছর খানিক আগে থলপাড়া গ্রামের ছালাম শিকদারের মেয়ে শান্তা ইসলামকে পারিবারিকভাবে মুঠোফোনে বিয়ে করেন সুমন। বিয়ের ছয় মাস পরেই নববধূকে দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে যান তিনি। এর কয়েক দিন পর থেকেই তাদের দাম্পত্য কলহ শুরু হয়।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার কয়েক মাস পর থেকেই শান্তাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতেন সুমন। বিভিন্ন সময় শান্তার পরিবার থেকে ব্যবসার জন্য মোটা অংকের টাকা পাঠাতে বাধ্য করেন সুমন। ওই অর্থ দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন সুমন।
নিহত শান্তার এক আত্মীয়ের বরাত দিয়ে কমিউনিটি নেতা শফিকুর রহমান বলেন, শান্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে এক আত্মীয়কে খোঁজ নিতে পাঠায় তার পরিবার। শান্তার ওই আত্মীয় বাসার দরজা তালাবদ্ধ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ দরজা ভেঙে মেঝেতে পড়ে থাকা শান্তার মরদেহ উদ্ধার করে পু্লিশ। তিনি বলেন, কী কারণে এ হত্যা তা এখনো স্পষ্ট নয়। ঘটনা উদঘাটনে তদন্ত করছে স্থানীয় প্রশাসন। ঘটনার পর থেকে সুমন মিয়ার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে ধরতে দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ কাজ করছে।