বর্তমানে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অবস্থা একেবারে নাজেহাল। এই ভঙ্গুর দল নিয়ে এশিয়া কাপে কতদূর যাওয়া যাবে এটি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে সমর্থক এবং ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মধ্যে। বিগত এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলা দলটি টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে
যায় কিনা এই শঙ্কা করছে সবাই। ব্যাটিংয়ের হিসেব করলে প্রায় প্রতিটি পজিশনেই সমস্যা রয়েছে। ওপেনিং, মিডল অর্ডার এবং ফিনিশিং এই তিন জায়গাতেই ইম্প্যাক্টফুল ক্রিকেটারের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এই কঠিন সময়ে সাব্বির রহমান সহ কিছু ক্রিকেটারকে ফেরানোর পরিকল্পনা করছে বিসিবি। দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা সাব্বির রহমানকে কি ফেরানো উচিত বিসিবির? দেখে নেয়া যাক অতীত পরিসংখ্যান।
সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এবারের এশিয়া কাপ আয়োজিত হচ্ছে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। আর এই ফরম্যাটে সবশেষ বিশ্বকাপ হয়েছিল ২০১৬ সালে৷ এরপর আর হয়নি এই ফরম্যাটে। ২০১৬ সালের সেই আসরে সাব্বিরের পারফরম্যান্স বলছে তাকে দলে ফেরালে সিদ্ধান্তটা একেবারে খারাপ করবেনা বিসিবি।
এশিয়া কাপে টি-টোয়েন্টির সংযোজন হওয়ার পর মাত্র একটিই আসর হয়েছে। একমাত্র সেঞ্চুরিটি করেন হংকংয়ের বাবর হায়াত। ৩ ম্যাচে খেলে তিনি করেছিলেন সর্বোচ্চ ১৯৪ রান। ইনিংস সর্বোচ্চ ১২২ রান রয়েছে তার দখলে।
এই তালিকায় দুইয়ে ছিলেন বাংলাদেশের সাব্বির রহমান। ৫ ম্যাচ খেলে ৪৪.০০ গড়ে সাব্বির করেছেন ১৭৬ রান। তার সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৮০ রানের। টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারও জিতেছিলেন সাব্বির।
তার নিচে ছিলেন বিরাট কোহলি-রোহিতরা। কোহলি সেই আসরে করেছিলেন ১৫৩ রান ও রোহিত করেছিলেন ১৩৮ রান। তারাও খেলেছিলেন ৫ ইনিংস৷ সেই আসরে বাংলাদেশ হয়েছিল রানার্সআপ৷ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত।