এবাদতকে একাদশে না দেখে অবাক হয়েছিলাম: তামিম

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম খেলায় ৩০৩ ও দ্বিতীয় ম্যাচে ২৯০ রান করেও হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।

হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে বুধবার আগে ব্যাট করে ২৫৬ রান করেন সফরকারীরা, যা আগের দুই ম্যাচের চেয়েও অনেক কম স্কোর।

বোলিংয়ে নামার আগে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল শঙ্কায় ভুগছিলেন শেষ ম্যাচেও হয়তো হারতে হবে। তবে বোলারদের কল্যাণে শেষ পর্যন্ত ১০৫ রানের দাপুটে জয় পান টাইগাররা।
৩২.২ ওভারে ১৫১ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে।

এ জয়ে অন্যতম অবদান দুই পেসার এবাদত হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমানের। গত দুই ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান সিকান্দার রাজাকে রানের খাতা খুলতেই দেননি এবাদত।

অথচ জিম্বাবুয়ে সফরে বাংলাদেশ স্কোয়াডেই ছিল না এবাদত। বাংলাদেশ দলে ইনজুরিতে খেলোয়াড় সংকটে পড়ে খুলনা থেকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এবাদতকে।

আর একটি ম্যাচে সুযোগ পেয়েই নিজেকে মেলে ধরেছেন এবাদত। এর আগে কেন এ পেসার দলে সুযোগ পাননি সে প্রশ্ন ওঠে সংবাদ সম্মেলনে।

যার জবাব জানা নেই খোদ বাংলাদেশ দলের অধিনায়কের।

হোয়াইটওয়াশ এড়ানো জয়ের পর ম্যাচপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তামিম ইকবাল বলেন, ‘এবাদত অনেক দিন ধরে দলের সঙ্গে আছে। এতদিন একাদশে তার জায়গা হয়নি কেন, আমার বোধগম্য নয়। একাদশে তাকে না দেখে আমি অবাক হয়েছিলাম। তাকে তো অনেক দিন ধরেই দলের সঙ্গে রাখা হচ্ছে। আজ তার সামর্থ্য প্রমাণের জন্য যথার্থ সুযোগ ছিল। শেষ ম্যাচে সুযোগ পেয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছে।’

বুধবারের ম্যাচেই ওয়ানডেতে অভিষেক হয় পেসার এবাদত হোসেনের। আর অভিষেকেই দলের ত্রাণকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তিনি।

৮ ওভারে ১ মেডেনসহ ৩৮ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেছেন এ পেসার। উইকেট দুটি পেয়েছেন পর পর দুই বলে। যে কারণে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং অর্ডার চাপে পড়ে যায়।

নিজের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে ওয়েসলিমাধেভেরে ও অধিনায়ক সিকান্দার রাজাকে আউট করেন এবাদত।