ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ফের রাশিয়ার পক্ষে নিজেদের জোরালো অবস্থান জানান দিল চীন। ইউক্রেন সংঘাতের জন্য চীন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রধান প্ররোচনাকারী হিসেবে উল্লেখ করেছে।
বুধবার রাশিয়ান সংবাদ সংস্থা তাস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। সেখানে মস্কোতে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ঝং হানুই সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন সংকটের আগে থেকেই রাশিয়াকে মিত্র হিসেবে বিবেচনা করা দেশটির এ অবস্থান নতুন কিছু নয়। সংকট শুরুর আগে চীনে সফরকালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, রাশিয়া এবং চীনের বন্ধুত্ব কখনো শেষ হওয়ার নয়।
তাসকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে ঝং হানুই বলেন, ওয়াশিংটন মস্কোর সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের পরিবর্তে ইউক্রেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে মৈত্রী স্থাপন এবং ন্যাটোর ক্রমবর্ধমান সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাশিয়াকে এক কোনো আবদ্ধ করে ফেলতে চায়।
ঝং হনুই বলেন, ‘ইউক্রেনীয় সংকটের সূচনাকারী এবং প্রধান উসকানিদাতা হিসেবে ওয়াশিংটন রাশিয়ার ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও ইউক্রেনে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো— রাশিয়াকে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞার কবলে ফেলে নিঃশেষ করে ফেলা।’
চীনা রাষ্ট্রদূতের এ মন্তব্য ইউক্রেনে রাশিয়ার দাবি করা ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ বিষয়ে নিজস্ব যেসব যুক্তি হাজির করে থাকে রাশিয়ার তার সঙ্গে একমত পোষণ করে।
এদিকে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে রাশিয়ার ৭০ থেকে ৮০ হাজার সেনা নিহত বা আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পেন্টাগন। পেন্টাগনের আন্ডার সেক্রেটারি অব ডিফেন্স ফর পলিসি কলিন কাহলের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
এর আগেও পেন্টাগন ও ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার ক্ষতির বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেছে। তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
কলিন কাহল জানিয়েছেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হামলা শুরুর পর রাশিয়া ৩ থেকে ৪ হাজার সাঁজোয়া যানও হারিয়েছে। একই সঙ্গে কাহল স্বীকার করেছেন যে, ইউক্রেনেরও যুদ্ধক্ষেত্রে লোকবলের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। তবে কোনো নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান দেননি তিনি।