দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজে জেতেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। এরপর টেস্ট খেলতে গিয়ে পান চোট।খেলতে পারেননি ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও তাকে রাখা হয় শুধু ওয়ানডেতে। তবে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় দ্রুত উন্নতি করায় তাকে রাখা হতে পারে টি-টোয়েন্টিতেও। এ নিয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেছেন, ‘তাকে টি-টোয়েন্টির স্কোয়াডে রাখা হচ্ছে। ফিজিওর পরামর্শ মেনে খেলানো হবে। ’
তবে তাসকিনের টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলা নিয়ে বেশ আশাবাদী বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘তাসকিন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে। এখন সে ফুল রান আপে ৭০-৮০ ইন্টেনসিটিতে বল করতে পারছে। এভাবে আগাতে থাকলে তো ভালো। ও ওখানে (ওয়েস্ট ইন্ডিজে) যাচ্ছে, সেখানে ট্রেনিং করবে। ও সংক্ষিপ্ত সংস্করণে খেলতে পারলেই আমরা খুশি। ’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম দিকে তো টি-টোয়েন্টি হবে (টেস্ট সিরিজের পর টি-টোয়েন্টি, শেষে ওয়ানডে সিরিজ)। এমনও হতে পারে ও যদি ভালো ফিল করে তাহলে টি-টোয়েন্টিতেও ওকে আমরা খেলাতে পারি। টি-টোয়েন্টি কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য না, ওখানে যাওয়ার পর যদি ও ভালো ফিল করে, আর এই উন্নতির ধারা যদি সামনেও থাকে তাহলে আমি মনে করি ওর খেলতে কোন অসুবিধা হবে না। ’
তাসকিনের ২৩ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্দেশে রওয়ানা দেওয়ার কথা। ২ জুলাই মাঠে গড়াবে প্রথম টি-টোয়েন্টি। যেখানে প্রথম ওয়ানডে ১০ জুলাই। দুই টি-টোয়েন্টি ও তিন ওয়ানডের আগেই হবে দুটি টেস্ট ম্যাচ।
১৬ সদস্যের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), মুনিম শাহরিয়ার, লিটন কুমার দাস, এনামুল হক বিজয়, সাকিব আল হাসান, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, কাজী নুরুল হাসান সোহান, ইয়াসির আলী চৌধুরী, শেখ মেহেদী হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, নাসুম আহমেদ ও সাইফউদ্দিন।