বর্তমানে টেস্ট ফরম্যাট-ই বেশি উপভোগ করছেন সাকিব

টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি সাকিবের অনীহা সাংবাদিকের এমন প্রশ্ন মানতেই পারলেন না টিম লিডার খালেদ মাহমুদ সুজন। বরং অন্য দুই ফরম্যাটের চেয়ে টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি সাকিবের আগ্রহ বেশি বললেন তিনি।

বিগত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবারই বিদেশ সফর, টেস্ট সিরিজ মিস করেছেন সাকিব। বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপনও বলেছেন টেস্ট ক্রিকেট যে সাকিবকে টানছে না। অথচ সেই সাকিবই কি না বাংলাদেশের নতুন টেস্ট অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন।

খালেদ মাহমুদ সাকিবের খুবই কাছের। সাকিবের সম্পর্কে তাঁর ধারণা অনেক সমৃদ্ধ। তিনি আজ সাংবাদিকদের বলেন, টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি সাকিবের আগ্রহ অনেক বেশি।

“সাকিব সবসময় বলে টেস্ট খেলতে চায় এখন। আমি জানি না কেন কথাটা বারবার আসে যে, সে টেস্ট খেলতে চায় না। ওর সঙ্গে যতবারই কথা বলি ও বলে- আমি অন্য ফরম্যাটের চেয়ে টেস্ট বেশি উপভোগ করি এবং আমি সবসময় টেস্ট-ই খেলতে চাই। যদি বোর্ড সাকিবকে দায়িত্ব দিতে চায় বা সে নিতে চায় তাহলে আমার মনে হয় ওর মধ্যেও পরিবর্তন আসতে পারে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমি বলছি না কালকেই সাকিবের নামই ঘোষণা হবে। তামিম আছে, মুশি (মুশফিক) আছে। তবে মুশফিক নিবে কি না সেটাও একটা বড় ব্যাপার। কে হবেন তা এখনই বলতে পারছি না। একটা সত্যি কথা বলি, আমি যতবারই ওর সঙ্গে কথা বলি ও বলে আমি শুধু টেস্ট-ই খেলতে চাই।”

সাকিব টেস্ট অধিনায়কত্ব পাবেন কি না শেষ পর্যন্ত তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে দৌড়ে যে তিনিই এগিয়ে রয়েছেন তা নিশ্চিত। সুজনের ধারণা সাকিব তৃতীয় মেয়াদে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেলে দলের চেহারা বদলে দিতে পারবেন।

“ওর সঙ্গে অধিনায়কত্ব নিয়ে কথা হয়নি। ক্রিকেট নিয়ে তাঁর জ্ঞান অনেক। ওর সঙ্গে এসব নিয়ে আলোচনা করে আরাম পাওয়া যায়। অনেক সময় নিজের মতো করে থাকে সেটা আমরা জানি। আমি মনে করি এবার যদি সে ক্যাপ্টেন্সি পায় তাহলে দলের পুরো চেহারা বদলে দিতে পারবে।”

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে তাঁকে পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। তবে সব শঙ্কা কাটিয়ে দুটো টেস্টই খেলেছেন তিনি। তবে ব্যাট হাতে তেমন ভালো করতে না পারলেও বল হাতে এমন সাকিবকে আগে দেখেননি সুজন। দুই টেস্ট মিলিয়ে করেছেন ১০৫.১ ওভার।

“সাকিব এখন অনেক অভিজ্ঞ এবং সে এখন টেস্ট ক্রিকেট অনেক উপভোগ করছে। সেটার প্রমাণ সে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই দিয়েছে। ও যে পরিমাণ বোলিং করেছে, তাঁকে সর্বশেষ কবে এমন দেখেছি তা মনে করতে পারছি না। আমাদের একটা ভয় ছিল যে সে হয়তো বেশি বল করবে না। তবে সে সে বল হাতে এখনও কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা প্রমাণ করেছে।”