বগুড়ার গাবতলীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে গাবতলী মডেল থানা সংলগ্ন তিনমাথা মোড়ে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা পুরো উপজেলা সদরে ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ছোড়ে।
এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে তিনজনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে এবং অন্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত শুক্রবার গাবতলীতে বিএনপির সম্মেলন ছিল। সেখানে স্থানীয় এক বিএনপি নেত্রী প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর ও কটূক্তিমূলক’ মন্তব্য করেন। এর প্রতিবাদে আজ দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সেই মিছিল তিনমাথা মোড়ে পৌঁছালে হামলা চালানো হয়।
ওই মোড়ে থাকা গাবতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোর্শেদ মিল্টনের বাড়ি থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে হামলা চালায়। এতে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে উভয়পক্ষ দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। শুরুতে পুলিশ কোনো পক্ষকে হটিয়ে না দিলেও পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ছোড়ে। গাবতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীরা দাবি করেন, তারা পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন।
গাবতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা আব্দুর রাজ্জাক মিলু বলেন, গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। শান্তিপূর্ণ সেই কর্মসূচিতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মিল্টনের বাড়ি থেকে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। হামলায় অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুজনের মাথায় গুরুতর আঘাত থাকায় তাদের শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে গাবতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোর্শেদ মিল্টনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, গাবতলীর পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত আছে। অতিরিক্ত পুলিশ এবং ডিবির টিম মোতায়েন করা হয়েছে।