উপসাগরীয় দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) মাঙ্কিপস্ক শনাক্ত হয়েছে। পাশাপাশি এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে চেক প্রজাতন্ত্র এবং স্লোভেনিয়াতেও। মঙ্গলবার (২৪ মে) এই তিন দেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হওয়ার খবর দিয়েছে বিবিসি। এর ফলে বিশ্বের ২১ টি দেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রন্ত রোগীর সন্ধান মিললো। তবে এই সংখ্যাটি আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে সাধারণ জনগণের জন্য সামগ্রিক ঝুঁকি কম রয়েছে।
মাঙ্কিপস্ক খুবিই বিরল প্রকৃতির ভাইরাস। এটি মূলত পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকার দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হয়। এই ভাইরাসে আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসলে যে কেউ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। লক্ষণগুলির মধ্যে প্রায়ই জ্বর এবং ফুসকুড়ি অন্তর্ভুক্ত থাকে এবং প্রায়ই জ্বর, পেশীতে ব্যথা, লসিকা গ্রন্থি ফোলা, ঠান্ডা লাগা, ক্লান্তি অনুভব এবং হাত ও মুখে চিকেনপক্সের মতো ফুসকুড়ি দেখা দেয়। এছাড়া সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে এই ভাইরাস ছড়ায়। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে, ত্বকের ক্ষত থেকে এবং নাক, মুখ ও চোখের ভেতর দিয়ে এই ভাইরাস মানুষের দেহে প্রবেশ করে।
আরব আমিরাতের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, সম্প্রতি পশ্চিম আফ্রিকা থেকে আসা এক ব্যক্তির শরীরে মাঙ্কিপস্ক শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যেকোনো প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে আরব আমিরাতের স্বাস্থ্য বিভাগ। রোগটি শনাক্তে নজরদারি বৃদ্ধিরও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার এক সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল ইনফেকশাস হ্যাজার্ড প্রিপারেডনেস ডিরেক্টর সিলভি ব্রায়ান্ড বলেন, মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণের মাত্রা কোথায় তা দেখতে এবং এটি কোথায় যাচ্ছে তা বোঝার জন্য আমরা আপনাদের সকলকে নজরদারি বাড়াতে উৎসাহিত করি। তিনি বলেন, মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব স্বাভাবিক নাও হতে পারে তবে এটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য থাকতে পারে। সূত্র: বিবিসি।