মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে নৌযানে করে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে অন্তত ১৪ রোহিঙ্গার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নৌযানডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আরও অর্ধশতাধিক রোহিঙ্গা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, ১৯ মে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিটওয়ে থেকে নৌকাযোগে বেশকিছু শিশুসহ কমপক্ষে ৯০ জন রোহিঙ্গা মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে তাদের বহনকারী নৌযানটি উল্টে গিয়ে সাগরে ডুবে যায়।
নৌদুর্ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তার মুখপাত্র এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তহবিলে পরিচালিত রেডিও ফ্রি এশিয়া জানায়, সাঁতরে তীরে ওঠা ২০ জনেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আটক করেছে মিয়ানমারের ইরাওয়ারদী অঞ্চলের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে মের মধ্যে ৬৩০ জন রোহিঙ্গা বঙ্গোপসাগর দিয়ে মিয়ানমার ছেড়ে অন্য দেশে পালানোর চেষ্টা করেছে। এদের মধ্যে ৬০ শতাংশই নারী ও শিশু।
২০১৭ সালে দেশটির সেনাবাহিনীর ভয়াবহ হামলার মুখে সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বৌদ্ধপ্রধান দেশটিতে আর মাত্র ৬ লাখ রোহিঙ্গা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হয়।
বাংলাদেশ ছাড়াও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আরেকটি গন্তব্য হচ্ছে মালয়েশিয়া। কারণ দেশটির সরকার রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতিশীল। যদিও তাদেরকে সরকারিভাবে শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি মালয় সরকার।