মাদ্রাসা শব্দটি তুলে দেওয়া উচিত : আসামের মুখ্যমন্ত্রী

মাদ্রাসায় নয় কোরআন শরিফ ঘরে পড়ানো উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এ ছাড়া মাদ্রাসা শব্দটিই তুলে দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।গতকাল রোববার দিল্লিতে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) এক অনুষ্ঠানে আসামের মুখ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়, আরএসএসের অনুষ্ঠানে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, ‘মাদ্রাসা শব্দটিই সরিয়ে দেওয়া উচিত। কোরআন বাড়িতে পড়ানো হোক। স্কুলে ছাত্রকে বিজ্ঞান ও অঙ্ক শেখানো হোক। আমরা ক্ষমতায় এসেই এই সিদ্ধান্ত নিই যে সরকারের টাকায় একটি নির্দিষ্ট ধর্মের ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া যাবে না।’

এক সময় সব মুসলমানই হিন্দু ছিল বলে মন্তব্য করেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মাদ্রাসায় যে ছাত্র যাচ্ছে, সে অনেক সময় ভালো ছাত্রে পরিণত হচ্ছে। এর কারণ, আদতে সে হিন্দু সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত। এমন একটা সময় ছিল, যখন সব মুসলমানই হিন্দু ছিল।’

এখনই না হলেও মুসলমানদের হিন্দু ধর্মে নিয়ে আসা সম্ভব বলে মনে করেন বিশ্বকর্মা। তিনি বলেন, ‘একজন মানুষকে যে মন্দিরে যেতে হবে বা মূর্তিপূজা করতে হবে, এমনটাও নয়। একজন মানুষকে ভারতের স্বার্থ মাথায় রাখলেই চলবে।’

আসামে বাইরে থেকে মুসলমান অনুপ্রবেশ করছে- এমন ইঙ্গিত দিয়ে রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আসামের ৩৬ শতাংশ মুসলমানকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। তারা হলেন, মূল অধিবাসী মুসলমান। যারা আসামের সংস্কৃতি ও ভাষাকে নিজের করে নিয়েছেন। এ ছাড়া রয়েছে ধর্ম পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি হওয়া দেশীয় মুসলমান সম্প্রদায় ও ভারতের বাইরে থেকে আসা মুসলমান। এদের সংস্কৃতি আলাদা। এরা নিজেদের মিয়া বলে।’