রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে নিজেদের রক্ষা করতে ফিনল্যান্ড যখন ন্যাটোর সদস্যতার জন্য আবেদন করার অভিপ্রায় ঘোষণা করেছে তখনই দেশটির সঙ্গে থাকা রুশ সীমান্তে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানো শুরু করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার (১৬ মে) পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী সামরিক যানগুলো ফিনিশ সীমান্তের কাছে পশ্চিম রাশিয়ার শহর ভায়বর্গে যাচ্ছে। খবর- মিরর।
রাশিয়াকে উপেক্ষা করে ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশের পরপরই এই ফুটেজটি সামনে আসল। মিরর জানায়, ভিএইসসিকে-ওজিপিইউ নামের চ্যানেলে প্রকাশিত ড্যাশক্যম ভিডিওর সঙ্গে থাকা বার্তায় বলা হয়, ৭টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ফিনিশ সীমান্ত থেকে মাত্র ২৪ মাইল দূরে অবস্থান করছে।
ভিডিওটিতে আরও বলা হয় ‘দেখে মনে হচ্ছে ভায়বর্গে বা পুরো প্রদেশে নতুন একটি সামরিক ইউনিট খোলা হচ্ছে। সবকিছুই নতুন। সামরিক ট্রাকে করে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নেওয়া হচ্ছে। ফিনরা ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার ব্যাপারে তৈরি থাকো!
রবিবার সন্ধ্যায়, ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের নেতারা ন্যাটোতে যোগদানের তাদের অভিপ্রায় নিশ্চিত করেছেন, যা ইউক্রেনে রাশিয়ার রক্তাক্ত আগ্রাসনের ফলে একটি ঐতিহাসিক বৈদেশিক নীতির পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
এদিকে মিরর জানায়, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হয়, যদি ন্যাটো সুইডেন ও ফিনল্যান্ডে ঘাটি স্থাপন করে তাহলে রাশিয়ার নিউক্লিয়ার অস্ত্র বসিয়ে সেটার প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।
ফিনিশ প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তো বলেছেন, একটি নতুন যুগের সূচনা হচ্ছে। একটি সুরক্ষিত ফিনল্যান্ড একটি স্থিতিশীল, শক্তিশালী এবং দায়িত্বশীল নর্ডিক অঞ্চলের অংশ হিসাবে জন্মগ্রহণ করবে ফিনল্যান্ড। তিনি আরও বলেন, এটা মনে রাখতে হবে নিরাপত্তা কোনো শূন্য-সমষ্টির খেলা নয়। ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে উভয় দেশকে বারবার সতর্ক করে পুতিন বলেছেন, এই পদক্ষেপটি রাশিয়াকে বাল্টিক সাগর অঞ্চলে তার প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করতে বাধ্য করছে।