উত্তর কোরিয়ায় করোনায় আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ মে) দেশটি প্রথমবারের মতো করোনার প্রাদুর্ভাবের কথা নিশ্চিত করে। এরপরই দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছে পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষমতাসীন কিম জং উনের প্রশাসন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ধাপে ধাপে বিশ্বজুড়ে শুরু হয় মহামারী। বিশ্বে করোনার উত্থান-পতন ঘটলেও এতদিন উত্তর কোরিয়া রোগী করোনা আক্তান্তের কথা জানা যায়নি।
বিশেষজ্ঞরা অবশ্য এই দাবি সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু সরকার তাদের দাবি থেকে একচুলও সরেনি। সেই উত্তর কোরিয়াই এবার স্বীকার করলো যে, তাদের দেশে একজন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন।
সংবাদসংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, এই ঘোষণার পরেই দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
খবরে জানা যায়, পিয়ংইয়ং শহরেই ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে। তবে সরকারি কর্মকর্তারা তার সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। কী করে তিনি ওমিক্রনে আক্রান্ত হলেন, সেটাও জানানো হয়নি।
কেএনসিএ জানিয়েছে, গত দুই বছর ধরে উত্তর কোরিয়ার এমার্জেন্সি কোয়ারান্টিন ফ্রন্ট নিখুঁতভাবে কাজ করছিল। কিন্তু এবার করোনায় আক্রান্ত একজনের খোঁজ পাওয়া গেল। এটা দেশের সবচেয়ে বড় ঘটনা।
ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে কিম জং উন। উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানেই ঠিক হয়েছে, এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ে জরুরি অবস্থা জারি করতে হবে।
কেএনসিএ আরও জানিয়েছে, কিম নির্দেশ দিয়েছেন, পুরো দেশে কঠোরভাবে লকডাউন জারি করা হবে। পুরো চিকিৎসা ব্যবস্থাকে প্রস্তুত রাখা হবে। দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের মিডিয়া জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ায় সব মানুষকে ঘরবন্দি থাকতে বলা হয়েছে।
এএফপি, এপি, রয়টার্স