কাতারে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন বাগেরহাটের শরণখোলার জাহাঙ্গীর হোসেন খান (৪২)। শনিবার (৭ মে) দুপুর সোয়া ২টার দিকে মারা যান এই রেমিট্যান্সযোদ্ধা। গত সোমবার (২ মে) রাত ২টার দিকে মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন তিনি। তাকে দেশটির হামাদ হসপিটালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
নিহত জাহাঙ্গীর খান শরণখোলা উপজেলার উত্তর কদমতলা গ্রামের মৃত আমির আলী খানে দ্বিতীয় ছেলে। আট বছর আগে স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে কাতারে পাড়ি জমান তিনি। সেখানে ফায়ার কর্মীর কাজ করতেন। থাকতেন রাজধানী দোহা থেকে কাছাকাছি মদিনা খলিফাতে। প্রবাসে যাওয়ার পর দেশে আসেননি একবারও।
দুর্ঘটনাকবলিত ওই মাইক্রোটিতে চালকসহ বাংলাদেশের সাতজন ছিলেন। এর মধ্যে ঘটনাস্থলেই মারা যান আবুল হোসেন। তার বাড়ি বরগুনা জেলায়। বাকি পাঁচজন বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে।
কাতারপ্রবাসী শরণখোলার শরীফ হাসান মুঠোফোনে জানান, সোমবার তারা সাতজন দেশটির সুমল রোড এলাকায় কাজে যান। কাজ শেষে রাত ২টার দিকে মাইক্রোযোগে ফেরার সময় একটি রেসের গাড়ি পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে দুমড়েমুচড়ে যায় মাইক্রোটি। ঘটনাস্থলেই মারা যান আবুল হোসেন। আহতদের মধ্যে জাহাঙ্গীরের অবস্থা ছিল বেশি গুরুতর। অন্য আহতদের মধ্যে চারজনের বাড়িও শরণখোলা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। তারা সবাই আশঙ্কামুক্ত। তাদের চিকিৎসা চলছে।
নিহতের ছোট ভাই মো. ওয়াজিহ উল্লাহ খান জানান, তারা তিন ভাই। বড় ভাই সাইফুল ইসলাম খান কুয়েতে থাকেন। মেজো ভাই জাহাঙ্গীর বিদেশে যাওয়ার পর আর দেশে আসেননি। কোরবানিতে আসার কথা ছিল। কিন্তু সেই ইচ্ছা আর পূরণ হলো না! ভাইয়ের লাশ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে।