ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর অভিযোগে রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কিন্তু রাশিয়ার তেল আমদানি নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপ গ্রহণ করলে সমস্যায়ে পড়বে জাপান। বৃহস্পতিবার জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী কোইচি হাগিউদা বিষয়টি জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
রয়টার্স জানায়, ওয়াশিংটন সফরকালে বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী বৈঠকে অশোধিত তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ মস্কোর বিরুদ্ধে কঠোরতম নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ প্রস্তাব করার পর এ কথা বলেন হাগিউদা।
এই সপ্তাহে জি-৭ ভূক্ত দেশের নেতাদের সঙ্গে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনার কথা রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। এর ফলে জাপানের ওপর তেল নিষেধাজ্ঞায় যেতে চাপ আসতে পারে।
হাগিউদা সাংবাদিকদের বলেন, জাপানের সম্পদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই যদি অন্যদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা দ্রুত রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা অনুসরণ করতে যাই তাহলে কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হব।
ইউএস এনার্জি সেক্রেটারি জেনিফার গ্রানহোমের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন হাগিউদা। বৈঠকে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আউটপুট বাড়িয়ে জাপানকে রাশিয়ার জ্বালানি শক্তির ওপর নির্ভরতা কমাতে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
গত অর্থবছরের মার্চ থেকে জাপানের মোট তেলের ৪ শতাংশ, গ্যাসের ৯ শতাংশ এবং কয়লার ১১ শতাংশ রাশিয়া থেকে আমদানি করতে হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এলএনজি প্রকল্প গ্রহণে জাপানী সংস্থাগুলিকে সহায়তা করার জন্য সরকারী অর্থায়ন করবে বলে জানিয়েছেন হাগিউদা।
একটি যৌথ বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, উভয় পক্ষই ইউক্রেন সংকটে শক্তি প্রযুক্তি এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার ভিত্তিতে সমাধানে আসতে সম্মত হয়েছে।