বাংলাদেশ সরকার এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উচিত প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করা। প্রবাসীদের পাসপোর্ট জটিলতায় সহজ ও দ্রুত করা। বিশেষ করে মালদ্বীপে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী যারা আছেন যাদের পাসপোর্ট নাই, পাসপোর্ট বানাতে গেলে স্থানীয় পুলিশের কাছ থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশন নেওয়া লাগে।
এ পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য হাজার হাজার বাংলাদেশি পাসপোর্ট বানাতে পারছেন না এবং নতুন করে ভিসা লাগাতে পারছেন না পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া যেভাবে অতি সহজে পাসপোর্ট বানানো যায় এ ব্যাপারে মালদ্বীপে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন অনেক প্রবাসী বাংলাদেশী । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ঘেটে এমনটাই দেখা গেছে।
অনেক প্রবাসী বাংলাদেশীর সাথে কথা বলে জানা যায়, পুলিশ ভেরিফিকেশন সংগ্রহ করতে একজন মালদ্বিভিয়ান লোকের দ্বারস্থ হতে হয়। কিন্তু কোন মালদ্বীপের নাগরিক এই ঝামেলায় যেতে আগ্রহী না,এর জন্যও পুলিশ ভেরফিকেশন পাচ্ছে না প্রবাসী বাংলাদেশিরা, পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া যেভাবে অতি সহজে পাসপোর্ট বানানো যায়- এ ব্যাপারে মালদ্বীপে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং বাংলাদেশের সরকার প্রধানসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি ।
তার সাথে দেখা দিয়েছে আরও একটি সমস্যা; সেটি হলো বৈধ হতে গেলে খরচ হচ্ছে অনেক টাকা। এমন একজন ভুক্তভোগী প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, আমি একজন দালাল কে মালদ্বীপের রুপিয়া ৩৫ হাজার দিয়েছি, যা বাংলাদেশের টাকায় ১ লাখ ৭৫ থেকে ৮০ হাজার। আজ ৬ মাস দালালের পেছনে ঘুরতে ঘুরতে এখন পর্যন্ত আমি বৈধ হতে পারিনি। এমন অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি ভুক্তভোগী আছেন।
মালদ্বীপসহ বিভিন্ন দেশের জেলে আটকে থাকা অসহায় শ্রমিকদের সরকারি খরচে দেশে আনা, বিদেশে মৃত্যুবরণকারী প্রবাসীদের সরকারি খরচে দেশে আনা, বাংলাদেশ এয়ারপোর্টে প্রবাসীদের হয়রানি মূলক কার্যক্রম বন্ধ করা- এই কাজগুলো যদি বাংলাদেশ সরকার করতে পারে তাহলে প্রবাসীদের মন জয় করে নেবে এবং দেশের রেমিটেন্স প্রবাহ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে।