লখনৌ সুপার জায়ান্টসের কাছে ৬ রানে হারল দিল্লি ক্যাপিটালস। টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯৫ রান সংগ্রহ করে লখনৌ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭ সাত উইকেটে ১৮৯ রান তুলতে পারে দিল্লি। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে লোকেশ রাহুলের লখনৌ সুপার জায়ান্টস। ৯ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ১৪। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে গুজরাট টাইটান্স।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার কুইন্টন ডি কক। আউট হওয়ার আগে ১৩ বলে ২৩ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মাত্র ৬১ বলে ৯৫ রান তুলেন আরেক ওপেনার লোকেশ রাহুল ও দীপক হুদা। এ সময় দুজনই অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন। রাহুল নিজের ইনিংসটা কিছুটা বাড়িয়ে নিলেও বেশিদূর এগিয়ে নিতে পারেননি হুদা। ৩৪ বলে ছয় চার এবং একটি ছয়ে করেন ৫২ রান।
এদিকে লোকেশ রাহুল আউট হওয়ার আগে করেন ৭৭ রান। ৫১ বলে খেলা তার এই শৈল্পিক ইনিংসটি চারটি চার এবং ছয়টি ছয়ে সাজানো। এছাড়া মার্কোস স্টনিস ১৭ এবং ক্রুনাল পান্ডিয়া ৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
দিল্লির বেশিরভাগ বোলারই ওভারে ৯ এর বেশি রান দিয়েছেন। আগের ম্যাচে কলকাতার বিপক্ষে কিপটে বোলিং করে ৩ উইকেট নেওয়া মুস্তাফিজও এদিন ছিলেন বেশ খরুচে। প্রথম স্পেলের দুই ওভারে ১৪, এরপর নিজের শেষ দুই ওভারে দিলেন ২৩ রান। ৪ ওভারে মোট ৩৭ রান দিলেও কোনো উইকেটের দেখা পাননি বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভারে সর্বোচ্চ ৪৪ রান দেন চেতন সাকারিয়া। দিল্লির বোলারদের মধ্যে একমাত্র শার্দুল ঠাকুর উইকেটের দেখা পেয়েছেন। ৪০ রান খরচায় ৩ উইকেট তুলেছেন এই বোলার।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ১৩ রানেই দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার (৫) ও পৃথ্বী শ’কে (৩) হারায় দিল্লি। এরপর দলের হাল ধরেন মিচেল মার্শ ও অধিনায়ক ঋষভ পন্ত। ৬০ রানের জুটি গড়ে উইকেট হারান মার্শ। ২০ বলে ৩৭ রান করে বিদায় নেন তিনি। অর্ধশতকের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে পন্ত আউট হয়েছেন ৩০ বলে ৪৪ করে। এরপর ললিত যাদব দ্রুত ফিরে গেলেও রভম্যান পাওয়েল ও অক্ষর প্যাটেল দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। পাওয়েল ২১ বলে ৩৫ রান করে ফিরলে
আবারও চাপে পড়ে দিল্লি। শেষ দিকে কুলদীপ যাদবকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত লড়ে যান প্যাটেল। তবে ম্যাচ জিতাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত আশা জাগিয়েও ৭ রানে হেরেছে তার দল। প্যাটেল খেলেন ২৪ বলে ৪২ রানের ইনিংস। যাদবের ব্যাট থেকে আসে ৮ বলে ১৬ রান। লখনৌর হয়ে একাই ৪ উইকেট তুলে নেন মহসিন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন দুশমান্থ চামিরা, রবি বিষ্ণই ও কৃষ্ণাপ্পা গৌতম।