ব্যাটিংয়ে সেরা বিজয়, বোলিংয়ে সেরা রাকিবুল

এক মাসের বেশি সময় মাঠে গড়ানোর পর অবশেষে পর্দা নামলো ডিপিএল। প্রথমবারের মতো ডিপিএলের শিরোপা নিজেদের করে নিলো ইমরুল কায়েসের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ২৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে শেষ করলো দলটি। দ্বিতীয় স্থানে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। দলটির সংগ্রহ ২২ পয়েন্ট।

এবারের আসরে বাংলাদেশি ছাড়াও পাকিস্তান, ভারত ও আফগানিস্তানের ক্রিকেটারদের দেখে গেছে। তবে আসর শেষে ব্যাটে-বলে সেরাদের তালিকায় আধিপত্য বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের। বিশেষ করে ব্যাট হাতে আনামুল হক বিজয় তো বিশ্বের মধ্যেই অনন্য রেকর্ড গড়েছেন। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সেরা হয়েছেন জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার। বোলারদের মধ্যে সেরা হয়েছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী স্পিনার রাকিবুল হাসান।

ব্যাটসম্যানদের মধ্যে প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের পাঁচজনই বাংলাদেশের। এরমধ্যে ১৫ ম্যাচে ১১৩৮ রান করে দ্বিতীয় স্থানে থাকা নাঈম ইসলামের চেয়ে বেশ দারুণ ব্যবধানে এগিয়ে বিজয়। ডিপিএল ‘লিস্ট এ’ ক্রিকেটের স্বীকৃতি পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো কোনো ব্যাটসম্যান হিসেবে এই প্রতিযোগিতায় হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন বিজয়। যা ‘লিস্ট এ’ ক্রিকেটের ইতিহাসে কোনো একটি নির্দিষ্ট টুর্নামেন্টের জন্যও প্রথম। এবার ১৫ ইনিংসের মধ্যে ৯টি ফিফটি ও ৩টি শতক হাঁকিয়েছেন বিজয়। ৯টি ফিফটিও ডিপিএলের ইতিহাসে প্রথম। এবার বিজয়ের সর্বোচ্চ রান ছিল ১৮৪। যা তার ‘লিস্ট এ’ ক্যারিয়ার সেরাও।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা নাঈম ইসলামের রান ৮৫৯। এবারের আসরে ৫টি অর্ধশতক ও ২টি শতক হাঁকিয়েছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। তিনে আছেন আরেক বাংলাদেশি, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তবে প্রথম দুইজনের চেয়ে বেশ পিছিয়ে এই ক্রিকেটার। ৬৫৮ রান আছে এই ক্রিকেটারের নামের পাশে। তবে বল হাতে ১৬ উইকেট নিয়ে অলরাউন্ডারদের মধ্যে সেরা অবস্থানে আছেন মোসাদ্দেক। যার ফলশ্রুতিতে শ্রীলঙ্কা সিরিজেও ডাক পেয়েছেন এই ক্রিকেটার।

চারে আছেন জাকির হাসান। রূপগঞ্জ টাইগার্সের এই ওপেনার ৬৩৬ রান করেছেন এবারের আসরে। ২টি শতকের পাশাপাশি ৩টি ফিফটি আছে এই ক্রিকেটারের নামের পাশে। এরপর তালিকার সেরা পাঁচের শেষ জায়গাটি দখল করে নিয়েছেন ভারতের চিরাগ জনি। এই অলরাউন্ডার ব্যাট হাতে ৫৯৭ রান করেছেন।

এছাড়াও এবারের আসরে রানে ফিরেছেন সাব্বির রহমান রোমান। ৫১৫ রান এসেছে জাতীয় দলের এই ক্রিকেটারের ব্যাট থেকে। ৫১৩ রান আছে ইমরুল কায়েসের নামের পাশে। শেখ জামালকে চ্যাম্পিয়ন করতে ব্যাট হাতে দারুণ অবদান রাখা নুরুল হাসান সোহানের সংগ্রহ ৮ ম্যাচেই ৪৮৩ রান। শেষদিকে দলে যোগ দিয়ে টাইগার দলের ওয়ানডে অধিনায়ক ৪ ম্যাচেই দুই শতকে করেছেন ৩৪৪ রান।

এদিকে বল হাতে সবচেয়ে সফল বোলার রাকিবুল হাসান। প্রাইম ব্যাংকের এই বাঁহাতি স্পিনার ১৫ ম্যাচে নিয়েছেন ২৯ উইকেট। দ্বিতীয় স্থানে আছেন শেখ জামালের ভারতীয় রিক্রুট পারভেজ রাসুল। তিনি নিয়েছেন ২৮ উইকেট। আরেক ভারতীয় চিরাগ জনি নিয়েছেন ২৭ উইকেট। আবাহনীর স্পিনার তানভীর ইসলাম ও সাইফ উদ্দিন নিয়েছেন যথাক্রমে ২২টি করে উইকেট। এবারের আসরে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে মাঠে নামা ৪১ বছর বয়সী মাশরাফী নিয়েছেন ২০ উইকেট।