মসজিদে নববীতে ‘চোর চোর’ স্লোগান, ইমরানের নামে মামলা

মদিনার পবিত্র মসজিদে নববীতে পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের উদ্দেশ্য করে ‘চোর চোর’ স্লোগান ও হট্টগোলের ঘটনায় ইমরান খানসহ ১৫০ জনের নামে মামলা হয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি হজ পালনকারীদের হয়রানি ও হজের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ঘটনায় এরই মধ্যে ইমরানের ঘনিষ্ঠ সাবেক এক মন্ত্রীর ভাতিজাকে গ্রেপ্তার করেছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ জানিয়েছে, আজ রোববার ফয়সালাবাদের মদিনা টাউন থানায় সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মোহাম্মদ নাঈম নামের এক ব্যক্তি। মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক বিশেষ সহকারী ড. শাহবাজ গিল, জাতীয় পরিষদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি, জাতীয় পরিষদের সদস্য শেখ রশিদ শফিক, ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ব্যবসায়ী অনিল মুসারাতসহ অনেকে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মসজিদে নববীতে পাকিস্তানি হজ পালনকারীদের কাজে বাধা দিতে পাকিস্তান থেকে ১৫০ জন ও লন্ডন থেকে আরও কয়েকজনের একটি দলকে সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগকারীর দাবি, পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

মামলার পরপরই ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুত সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমদের ভাইপো শেখ রশিদ শফিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সৌদি আরব থেকে ফিরে ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম বিদেশ সফরে সম্প্রতি সৌদি আরবে গিয়েছিলেন মুসলিম শাহবাজ শরিফ। সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, দলীয় নেতা ও পরিবারের সদস্য। তিন দিনের সফরে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সৌদিতে যান তারা। পরে নামাজ পড়তে যান মসজিদে নববীতে। কিন্তু সেখানে অনভিপ্রেত ঘটনার সাক্ষী হতে হয় শাহবাজদের। পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের দেখেই তুলকালাম শুরু করেন একদল পাকিস্তানি হজ পালনকারী।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, মসজিদে নববীতে শাহবাজ ও তার সঙ্গীদের দেখে ‘চোর চোর’ স্লোগান শুরু করেন একদল পাকিস্তানি।

আরেক ভিডিওতে মসজিদের ভেতর পাকিস্তানের নতুন তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রী শাহজাইন বুগতির উদ্দেশে কিছু লোককে গালিগালাজ করতে দেখা যায়।

মসজিদে নববীর মতো পবিত্র একটি জায়গায় এমন ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের বিভিন্ন রাজনীতিবিদ ও ধর্মীয় নেতা।