আর সাত মাসও বাকি নেই ফুটবল দুনিয়ার সবচেয়ে বড় আসর ফিফা বিশ্বকাপ শুরুর। এরই মধ্যে বেজে উঠেছে দ্যা গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের দামামা। এবার প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যে বসতে যাচ্ছে ফুটবলের এ মহাযজ্ঞ। তাই নিয়ে আয়োজক দেশ কাতার থেকে শুরু করে অপেক্ষমান বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা।বিশ্বকাপে প্রিয় দলের খেলা দেখতে টিকিটের জন্য কতই না আহাজারি। কেউ প্লেনে করে বা অন্য কোনো বাহনে চড়ে পাড়ি দেবেন কাতারে। তবে এবার প্লেনে বা অন্য বড় যানবাহন নয় বরং এই ফুটবল বিশ্বকাপ সরাসরি দেখতে টানা ছয় মাস সাইকেল চালিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কাতারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবেন চার আর্জেন্টাইন বন্ধু।
চার আর্জেন্টাইন বন্ধু লুকাস দানিয়েল লেদেজমা, লিন্দ্রো ব্লাঙ্কো, সিলভিও গাতি এবং সেবাস্তিয়ান রদ্রিগেজ। এ চার বন্ধু মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে তারা সাইকেল চালিয়ে পাড়ি দেবেন কাতারে বিশ্বকাপের খেলা দেখতে। বিশ্বকাপ ফুটবল উপভোগ করতে কেপ টাউন থেকে দোহায় পাড়ি জমাবেন তারা। সব প্রস্তুতিও নেওয়া শেষ। সবকিছু ঠিক থাকলে ১৫ মে দোহার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে এই চার সাইক্লিস্ট। এর আগে ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপ ও ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ দেখতেও এভাবে সাইকেলে করে পাড়ি জমিয়েছিলেন লেদেজমা।
নিজেদের সফরের বিষয়ে পেশায় শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক দানিয়েল লেদেজমা বলেন, ‘আফ্রিকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যে পৌঁছাতে ১৫টি দেশ পার হতে হবে আমাদের। এজন্য ৬ হাজার ৫২৪ মাইল পথ সাইকেল চালিয়ে পাড়ি দিতে হবে আমাদের। আশা করছি ৬ মাসের মধ্যে আমরা কাতার পৌঁছাতে পারবো, আর ২০২২ বিশ্বকাপ সামনাসামনি উপভোগ করবো।’
পেশায় লেখক লিন্দ্রো ব্লাঙ্কো বলেন, ‘দেখুন ব্যাপারটা এমন না যে, আমি সাইকেলে চড়ে বসলাম আর অজানা উদ্দেশ্যে পাড়ি জমালাম। আমাদের এই ট্যুরটার জন্য অনেক কাজ করতে হয়েছে। মাসের পর মাস আমরা এই সফর নিয়ে গবেষণা করেছি, প্রস্তুতি নিয়েছি।’ শুধু বিশ্বকাপ উপভোগই নয়, তাদের এ সফরের পেছনে রয়েছে আরো একটি মহৎ উদ্দেশ্য। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় প্রতি এক কিলোমিটার পরপর একটি করে গাছের চারা রোপণ করবেন এই চার সাইক্লিস্ট।
নিজেদের এই মহৎ উদ্যোগ নিয়ে লেদেজমা বলেন, ‘আমাদের এই সফরের আরও একটি মহৎ উদ্দেশ্য আছে। আমরা আর্জেন্টিনায় করদোভার পাহাড়ে একটি গাছের চারা রোপণ করেছি। এভাবে প্রতি কিলোমিটার পর পর আমরা একটি করে গাছের চারা রোপণ করবো। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় কিছুটা হলেও এ উদ্যোগ কাজে দেবে বলে আমার বিশ্বাস।’