২০ রানে হারল লখনউ সুপার জায়ান্টস। প্রথমে ব্যাট করে লোকেশ রাহুলদের ইনিংস শেষ হয় ৮ উইকেটে ১৫৩ রানে। জবাবে ময়ঙ্ক অগ্রবালরা করলেন ৮ উইকেটে ১৩৩ রান।
টস জিতে প্রথমে লখনউকে ব্যাট করতে পাঠান পঞ্জাব অধিনায়ক ময়ঙ্ক অগ্রবাল। লখনউ অবশ্য বড় রানের লক্ষ্য দিতে পারল না পঞ্জাবকে। লখনউ অধিনায়ক এ দিন রান পেলেন না। মাত্র ৬ রান করে রাবাডার বলে আউট হলেন রাহুল। অধিনায়ক দ্রুত ফিরলেও দলের ইনিংসকে প্রত্যাশামতোই টেনে নিয়ে গেলেন অপর ওপেনার কুইন্টন ডি’কক এবং তিন নম্বরে নামা দীপক হুডা।
দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ৪টি চার এবং ২টি ছয়ের সাহায্যে করলেন ৩৭ বলে ৪৬ রান। দীপকের অবদান ২৮ বলে ৩৪ রান। ১টি চার এবং ২টি ছয় মারেন তিনি। এই ভাঙতেই লখনউ ইনিংসে ধস নামালেন পঞ্জাবের জোরে বোলার কাগিসো রাবাডা।
প্রোটিয়া বোলার অনবদ্য বোলিং করলেন এ দিন। ৪ ওভার বল করে ৩৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিলেন তিনি। লখনউয়ের ইনিংস ভাঙতে তাকে যোগ্য সহায়তা করলেন লেগ স্পিনার রাহুল চাহার। তিনি ৪ ওভারে ৩০ রানে ২ উইকেট নিলেন। রাহুল ছাড়াও রাবাডার শিকার তালিকায় রয়েছেন ক্রুণাল পাণ্ড্য (৭), আয়ুষ বাদোনি (৪) এবং দুষ্মন্ত চামিরা (১৭)। চাহার ফেরালেন মার্কাস স্টোইনিস (১) এবং জেসন হোল্ডারকে (১১)।
মাত্র ১১১ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় আইপিএলের নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। লখনউ ইনিংসের শেষ দিকে চামিরা এবং হোল্ডার খানিকটা চালিয়ে খেলেন। যদিও মহসিন খানের ৬ বলে ১৩ রানের অপরাজিত ইনিংস লখনউকে ১৫০ রান পার করতে সাহায্য করে।
জয়ের জন্য ১৫৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ল পঞ্জাবও। ময়ঙ্ক (১৭ বলে ২৫), জনি বেয়ারস্টো (২৮ বলে ৩২) এবং লিয়াম লিভিংস্টোন (১৬ বলে ১৮) ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই উল্লেখযোগ্য প্রতিরোধ গড়তে পারলেন না। পঞ্জাব অধিনায়ক দু’টি করে চার এবং ছয় মারেন।
বেয়ারস্টো মারেন ৫টি বাউন্ডারি। কিন্তু চামিরা, ক্রুণালদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে কার্যত অসহায় দেখায় পঞ্জাবের ব্যাটারদের। একমাত্র রবি বিষ্ণোই ছাড়া লখনউয়ের কোনো বোলারের বিরুদ্ধেই সুবিধা করতে পারলেন না তারা। বিষ্ণোইও পঞ্জাবের বিপজ্জনক ওপেনার শিখর ধবনকে (১৫ বলে ৫) শুরুতেই ফিরিয়ে দিয়ে প্রতিপক্ষকে প্রথম ধাক্কা দেন। ব্যর্থ হলেন ভানুকা রাজাপক্ষে (৯), জিতেশ শর্মাও (২)। শেষ পর্যন্ত পঞ্জাবের ইনিংস থামল ৮ উইকেটে ১৩৩ রানে।
দুরন্ত বোলিং করলেন ক্রুণাল। ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন। মেডেনও নিলেন একটি ওভার। মহসিন ২৪ রানে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিলেন। চামিরাও ভালো বল করলেন। তিনি ৪ ওভারে ১৭ রান খরচ করে ময়ঙ্ক এবং বেয়ারস্টোর গুরুত্বপূর্ণ দু’টি উইকেট তুলে নিলেন।