মসজিদে আকসায় হা’মলা : যা বলল সৌদি আরব

ফিলিস্তিনের জেরুজালেম শহরে অবস্থিত মসজিদে আকসায় জুমার নামাজে আগত নিরস্ত্র মুসল্লিদের ওপর হা’মলার নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব। গতকাল শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) পবিত্র আল আকসা মসজিদের গেট বন্ধ করাসহ চত্বরে সংঘর্ষের ঘটনায় ইসরায়েলের দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে নিন্দা জানায় দেশটি।

আরব নিউজের সূত্রে জানা যায়, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে আল আকসা মসজিদ সমবেত হয় হাজারো মুসল্লি। এ সময় ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষ হয়। এক বছর আগেও একই স্থানে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংঘাত হয়েছিল।

এক বিবৃতিতে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলের এ ধরনের হা’মলা পবিত্র আকসা মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘনের শামিল এবং মুসলিম জাতির কাছে এর তাৎপর্যের ওপর নির্লজ্জ হা’মলার শামিল। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক রেগুলেশন ও চুক্তির লঙ্ঘন বলে মনে করে দেশটি।

শান্তি পরিস্থিতি লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলকে দায়ী করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় সৌদি আরব। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ফিলিস্তিনের জনগণ, তাদের ভূমি ও পবিত্র স্থানগুলোতে শান্তি পুনঃস্থাপনে চলমান অপরাধ ও শান্তি প্রক্রিয়া লঙ্ঘনের জন্য ইসরায়েল দায়ী থাকবে। এ ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যে শান্তিপ্রচেষ্টা পুনরুজ্জীবিত করার প্রতি গুরুত্বারোপের কথা বলা হয়।

সম্প্রতি এ ধরনের সহিংস হা’মলা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় জেরুজালেমকে নতুন করে সংঘাতের দিকে ঢেলে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে গত বছর রমজান মাসে মসজিদে আকসা চত্বরে ইসরায়েলি বাহিনী ও হা’মাসের মধ্যে তীব্র সংঘাত হয়েছিল। তখন মিসর, জর্দান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ সংলাপের পর ১১ দিন চলা এ সংঘর্ষ বন্ধ হয়েছিল।

এদিকে মুসলিম বিশ্বের সর্ববৃহৎ সংস্থা অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) রমজান মাসে মসজিদে আকসায় মুসল্লিদের ওপর হা’মলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এ ধরনের ভয়াবহ হা’মলা বেড়ে যাওয়াকে মুসলিম জাতি এবং আন্তর্জাতিক রেগুলেশনের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মনে করছে সংস্থাটি। ফিলিস্তিনি জনগণের নিরাপত্তা এবং এই অঞ্চলে চরমপন্থা, ধর্মীয় সংঘাত ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী ইসরায়েলের এ ধরনের হা’মলা প্রতিরোধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

সূত্র : আরব নিউজ