আইপিএলে হারের ধারা অব্যাহত রেখেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এখন পর্যন্ত ছয়টি ম্যাচের একটিতেও জিততে পারেনি রোহিত শর্মার দল। শনিবার লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের কাছেও হেরে গেল মুম্বাই। টস জিতে লক্ষ্ণৌকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল রোহিত। ২০ ওভারে ৪ উইকেটে হারিয়ে ১৯৯ রান করে লক্ষ্ণৌ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মুম্বাই ৯ উইকেটে ১৮১ রানে থামল।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৬ রানেই ওপেনার রোহিত শর্মার (৬) উইকেট হারায় মুম্বাই। এরপর আরেক ওপেনার ঈশান কিষাণ (১৩) ও ডেওয়াল্ড ব্রেভিস (৩১) মিলে ধাক্কা সামাল দিলেও দলীয় ৫৭ রানেই দুজনের বিদায়ে ফের বিপাকে পড়ে আইপিএলের ইতিহাসে অন্যতম সফল এই দলটি। এরপর তিলক ভার্মা (২৬) ও সূর্যকুমার যাদব (৩৭) মুম্বাইকে লড়াইয়ে রাখেন। তাদের ৪৮ বলে ৬৮ রানের জুটি ভাঙে জেসন হোল্ডারের বলে তিলক বিদায় নিলে। কিছুক্ষণ পর একই পথে হাঁটেন সূর্যকুমার।
শেষদিকে মুম্বাইকে আশা দেখান কাইরন পোলার্ড ও জয়দেব উনাদকাট। ১৯তম ওভারে জয়দেব হোল্ডারের এক ছক্কা ও দুই চারে দেন ১৭ রান। পোলার্ডও স্বভাবসুলভ আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে গেছেন। কিন্তু শেষ ওভারে তাদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৬ রান। চামিরার করা ওভারের প্রথম বলেই জোড়া রান নিতে গিয়ে রান আউট হন জয়দেব। পরের বলে ছক্কা হাঁকান মুরুগান অশ্বিন। কিন্তু তৃতীয় বলেই রান আউট হয়ে ফেরেন তিনি। চতুর্থ বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পোলার্ডও (২৫)। ফলে শেষ হয় মুম্বাইয়ের লড়াই।
এর আগে লক্ষ্ণৌ ইনিংস ছিল রাহুলময়। শুরুতে কিছুটা দেখেশুনে খেললেও ওপেনিং সঙ্গী কুইন্টন ডি কক (২৪) বিদায় নিতেই হাত খুলে শট খেলেন লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক। প্রথমে মনিশ পান্ডের সঙ্গে ৪৭ বলে ৭২ রানের জুটি গড়েন রাহুল। মনিশের ব্যাট থেকে আসে ৩৮ রান। তবে ৩৩ বলে ফিফটি তুলে রাহুল থামেননি।
শেষ তিন ওভারে তার ব্যাটিং তাণ্ডবে ৫৪ রান তুলে ফেলে মুম্বাই। আর রাহুল ৫৬ বলে নিজের শততম আইপিএল ম্যাচে তুলে নেন দুর্দান্ত এক ফিফটি। শেষ পর্যন্ত ১০৩ বলে অপরাজিত থাকেন তিনি। শেষ দিকে দীপক হুডা ৮ বলে ১৫ ও মার্কাস স্টয়নিস ৯ বলে ১০ রান করেন।