বাংলা ভাষায় মোস্তাফিজকে যা বলে চমকে দিলো ওয়ার্নার

বর্তমান সময়ে বহির্বিশ্বে বাংলা ভাষার অন্যতম ‘দূত’ হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমানের নাম নেওয়া হলে খুব বেশি কি ভুল হবে? হয়তো না। বাঁহাতি এই পেসার দেশ-বিদেশের যে লিগে যখনই খেলতে গিয়েছেন, সেখানেই বাংলা ভাষা চর্চার একটা সংস্কৃতি গড়ে দিয়ে এসেছেন।

জীবনে প্রথম আইপিএল খেলতে গিয়েছিলেন ২০১৬ সালে, সেখানে তাঁর সামর্থ্যের সবটুকু পাওয়ার জন্য অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার আর কোচ টম মুডি উদ্যোগী হয়ে বাংলা ভাষা শেখা শুরু করে দিয়েছিলেন, যেন মোস্তাফিজের সঙ্গে সহজে ভাব বিনিময় করা যায়।

সানরাইজার্স হায়দরাবাদের আইপিএল শিরোপা জেতার পেছনে মোস্তাফিজের সঙ্গে ওয়ার্নারের এই বন্ধুত্ব অনেক বড় প্রভাব রেখেছিল। সাসেক্সেও একই অবস্থা।

মোস্তাফিজকে ঘিরে কাউন্টিতে তুমুল আগ্রহের কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলা ভাষায় পোস্ট করেছে সাসেক্স। গতবার রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে আইপিএল খেলেছেন মোস্তাফিজ, সেখানেও ফ্র্যাঞ্চাইজিটি নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলায় পোস্ট করত।

মুম্বাই ইন্ডিয়ানস, রাজস্থান ঘুরে মোস্তাফিজ এবার দিল্লিতে। আবারও একজোট হয়েছেন প্রিয় বন্ধু ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে, যিনি হায়দরাবাদ ছেড়ে এবার নাম লিখিয়েছেন একই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে।

দুজনের কারণে দিল্লিতেও এবার বাংলা ভাষার ‘প্রসার’ দেখা গেল। গতকাল কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন মোস্তাফিজ-ওয়ার্নাররা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সে ম্যাচের আগে একটা ভিডিও পোস্ট করে দিল্লি ক্যাপিটালস। সেখানে দেখা যাচ্ছিল, বাংলা ভাষায় একজন সতীর্থের সঙ্গে দলীয় বাসে হাসি-মশকরা করছেন ওয়ার্নার। কোন সতীর্থ, সেটা অবশ্য বোঝা যায়নি। হয়তো মোস্তাফিজই হবেন!

ভিডিওতে দেখা গেল, ওয়ার্নার বলছেন, ‘হেই বাডি (বন্ধু)! হাউ আর ইউ? কেমন আছ? আমি তোমাকে ভালোবাসি! গুড টু সি ইউ (তোমাকে দেখে খুশি হলাম)।’

দিল্লির গতকালের প্রতিপক্ষ কলকাতার মানুষও বাংলাতেই কথা বলেন, সেদিকে উদ্দেশ্য করে ওয়ার্নারের পোস্টে দিল্লির ক্যাপশনটাও হয়েছে মানানসই, ‘ওয়ার্নারের পক্ষ থেকে দুই দলের সমর্থকদের জন্য একটা বার্তা। অসাধারণ একটা ম্যাচের অপেক্ষায় কলকাতা নাইট রাইডার্স!’

ভিডিওর মতো ম্যাচ শেষেও মোস্তাফিজ-ওয়ার্নারদের মুখে হাসি লেগে ছিল। আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে দিল্লি তোলে ৫ উইকেটে ২১৫ রান। বাকি কাজটা করেছেন দিল্লির বোলাররা। রান তাড়ায় ১৭১ রানে থেমেছে কলকাতার ইনিংস। ৪ ওভার বল করে কোনো উইকেট না পেলেও মোস্তাফিজ রান দিয়েছেন মাত্র ২১। ঝড় উঠেছিল ওয়ার্নারের ব্যাটে। ৪৫ বলে ৬১ করেন ওয়ার্নার।