ইমরান খানের শাসনামলের পতন ঘটল। অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রিত্ব খোয়ালেন তিনি। ক্রিকেট তারকা থেকে প্রধানমন্ত্রী বনে যাওয়া ইমরান পাকিস্তানের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের রচনা করলেন। পাকিস্তানে তার আগে কোনো প্রধানমন্ত্রী অনাস্থা ভোটে হারেননি।
২০১৮ সালের ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পরিষদে ইমরানের দল ১৪৯টি আসন পায়। পরে তিনি সরকার গঠন করে একই বছরের ১৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেন। ১০ এপ্রিলের অনাস্থা ভোট পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
দিনের হিসাব করলে ইমরান প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন ১ হাজার ৩৩২ দিন। বছরের হিসাবে তিন বছর সাত মাস ২৩ দিন। আর মাসের হিসাবে ৪৩ মাস ২৩ দিন। পাকিস্তানের পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৩ সালে। অনাস্থা ভোটে না হারলে তিনি তার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারতেন।
পাকিস্তানের চলমান আর্থিক দুরবস্থা ও ভুল পররাষ্ট্রনীতির অভিযোগে বেশ কদিন আগেই ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিরোধী দলগুলো। তবে এ প্রস্তাবকে ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে ৩ এপ্রিল তা খারিজ করে দেন জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি।
সেদিনই প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এ পরিস্থিতিতে স্বপ্রণোদিত হয়ে নোটিশ দেন সুপ্রিম কোর্ট। বিরোধীরাও আদালতের দ্বারস্থ হন।
শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্ট ৭ এপ্রিল অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ ও জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেন এবং অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোট আয়োজনের নির্দেশ দেন। আর সেই ভোটে ১৭৪ জন সদস্য ইমরানের বিপক্ষে রায় দিয়েছেন।