পাকিস্তানের ইতিহাসে নির্বাচিত কোনো প্রধানমন্ত্রীই পাঁচ বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে পারেননি। ইমরান খানও পারলেন না। অক্ষুণ্ণ থাকল ইতিহাসের ধারা। তবে জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটে হেরে নতুন নজির গড়লেন ইমরান। তিনিই প্রথম পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী, যিনি অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রিত্ব খোয়ালেন।
শনিবার দিবাগত রাতে অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ হারান ইমরান খান। দেশটির পার্লামেন্টের অধিবেশনে তার বিরুদ্ধে আনা বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। এতে ৩৪২ ভোটের মধ্যে ইমরানের বিরুদ্ধে ভোট পড়েছে ১৭৪টি। প্রস্তাব পাসের জন্য দরকার ছিল ১৭২ ভোট।
ইমরান খান ছিলেন পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী। তার ক্ষমতাচ্যুতির মধ্য দিয়ে দেশটির নির্বাচিত একজন প্রধানমন্ত্রীও তার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারলেন না।
এর আগে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ইমরান খানের ভাগ্যনির্ধারণী এ অধিবেশন শুরু হয় স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায়। কিন্তু অনাস্থা ভোটের আগে ইমরান খানের সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংসদের ভেতর তুমল হট্টগোল আর বাকবিতণ্ডা শুরু হলে জাতীয় পরিষদের স্পিকার সাময়িকভাবে অধিবেশন মুলতবি করে দেন।
পরে আবার অধিবেশন শুরু হয়। এরপর আবার মুলতবি ঘোষণা করা হয়। একপর্যায়ে অধিবেশন চতুর্থবারের মতো মুলতবি করা হয়। এশার নামাজ শেষে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ অধিবেশন শুরুর কথা ছিল। শেষ পর্যন্ত তা শনিবার মধ্যে রাতে শুরু হয়।