সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যায় সন্দেহভাজন সৌদি নাগরিকদের বিচার স্থগিত করে এ সংক্রান্ত মামলাটি সৌদি আরবে স্থানান্তরের আদেশ দিয়েছে তুরস্কের একটি আদালত।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার উদ্যোগ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার এ রায় দেয় রিয়াদ। খাশোগি হত্যায় সন্দেহভাজন ২৬ সৌদি নাগরিকের অনুপস্থিতিতে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের মামলাটির বিচারকাজ চলছিল।
কয়েকদিন আগে তুরস্কের সরকারি কৌসুলিরা মামলাটি ইস্তাম্বুল থেকে সৌদি কর্তৃপক্ষের হাতে স্থানান্তরের আবেদন জানান। তুরস্কের সরকারও কৌঁসুলিদের এই আবেদনে সমর্থন জানান।
তবে এর কড়া সমালোচনা জানিয়েছেন সাংবাদিক খাশোগি বাগদত্তা হেতিস সেনগিজের আইনজীবী গোকম্যান বাস্পিনার।
তুর্কি সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন,‘বিচার স্থগিতের এই সিদ্ধান্ত আইনবিরুদ্ধ, কারণ সৌদি আরবে আসামিদের খালাস দেওয়ার আদেশ তো চূড়ান্ত হয়েই আছে।’
‘‘বিচারটি এমন এক দেশে স্থানান্তর করা হচ্ছে যেখানে ন্যায়বিচার নেই।’’
তুর্কি আদালতের এ সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে হিউম্যান রাইটস ওয়ার্চ সতর্ক করে বলেছিল, রিয়াদে মামলা স্থানান্তর বিচারকে বাধাগ্রস্ত করবে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সহকারী পরিচালক মিশেল পেইজ বলেন,‘‘এটা খাশোগি ন্যায়বিচার পাওয়ার সম্ভাবনার ইতি ঘটাবে। হত্যা করলেও পার পাওয়া যায়, সৌদি শাসকদের এই বিশ্বাস পোক্ত করবে এই সিদ্ধান্ত,’’।
এর আগে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার দায় স্বীকার করেছিলেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
মার্কিন টিভি চ্যানেল পিবিএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, খাশোগি তার হত্যার দায় নিজের। কারণ তার পর্যবেক্ষণ ও নজরদারিতে খাশোগি হত্যার ঘটনা ঘটেছে।