সৌদি আরবে ভিক্ষুকদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। এই অভিযানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় চার হাজার ভিক্ষুক আটক করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সৌদি গেজেট জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে অন্তত তিন হাজার ৭১৯ জন ভিক্ষুককে আটক করেছেন সৌদি নিরাপত্তা বাহিনীর পাবলিক সিকিউরিটি।
শনিবার গত (২ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে পাবলিক সিকিউরিটি বলেছে, ভিক্ষুকদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসাবে গত ২২ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ থেকে ফের অভিযান চালানো হয়। সপ্তাহব্যাপী এই অভিযানে গ্রেফতারের পাশাপাশি ভিক্ষুকদের ভিক্ষার অর্থও জব্দ করা হয়েছে।
সৌদি আরবে বর্তমানে সব ধরনের ভিক্ষাবৃত্তি নিষিদ্ধ। ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর পাবলিক সিকিউরিটি।
ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে কঠোর নিয়ম-কানুন করেছে সৌদি সরকার। এছাড়া গত বছরই ‘অ্যান্টি বেগিং ল’ বা ভিক্ষাবৃত্তির বিরুদ্ধে আইন নামে একটি আইন পাস করেছে। এই আইন অনুযায়ী, কেউ ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত থাকলে তাকে গ্রেফতার করা হবে। সেই সঙ্গে শাস্তি হিসাবে সর্বোচ্চ এক বছরের জেল ও ২২ লাখ ৭২ হাজার ৬৬ টাকা (এক লাখ সৌদি রিয়াল) জরিমানা হবে।
আরও পড়ুন : সৌদির মসজিদে তারাবির নামাজে মুসল্লিদের ঢল
ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িত থাকা, ভিক্ষুকদের জড়ো করে কৌশলে ব্যবসার চেষ্টা বা কোনো ভিক্ষুক গ্রুপকে সহায়তা করলে তাদের এই আইনের অধীনে শাস্তি দেওয়া হবে বলে আইনে বলা হয়।
আইনে আরও বলা হয়েছে, ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত কাউকে উৎসাহিত ও সাহায্য করলে তিনিও এই আইনে শাস্তি পাবেন। এ ক্ষেত্রে জড়িতদের সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ১১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩ টাকা (৫০ হাজার সৌদি রিয়াল) জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে।
এই আইনের অধীনে সৌদি আরবের নাগরিক নন-এমন ভিক্ষুকদেরকে জেলের মেয়াদ শেষে এবং জরিমানার অর্থ পরিশোধের পর নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। কাজের জন্য তাদের আর কখনো সৌদি আরবে ফিরতে অনুমোদন দেওয়া হবে না।
অন্য দেশের কোনো ভিক্ষুক যদি সৌদি নারীর স্বামী বা সন্তান হন, তাহলে তাকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হবে না। ভিক্ষাবৃত্তির জন্য কোনো ব্যক্তি যদি একাধিকবার গ্রেফতার হন তাহলে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে।