সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে শনিবার (২ এপ্রিল) থেকে পবিত্র মাহে রমজানের রোজা রাখতে শুরু করেছে নোয়াখালীর কয়েকটি গ্রামের লোকজন। তবে ইমামরা বলছে ভিন্ন কথা। তারা বিডি২৪লাইভকে জানান, সৌদি আবরের সাথে আমাদের দেশের সময়ের পার্থক্য রয়েছে।তাদের সাথে মিল রেখে রোজা রাখা উচিত হয় নি।আমাদের দেশে চাঁদ দেখার পর আজ সন্ধ্যার পূর্বেই রোজা রাখার বিষয়টি ক্লিয়ার হবে।
এর আগে শুক্রবার (১ এপ্রিল) দিবাগত ভোরে সেহরি খেয়ে তারা রোজা পালন শুরু করেন ওই এলাকাবাসী। খোঁজ নিয়ে জানা যায়,বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের উত্তর বসন্তবাগ, জিরতলী ইউনিয়নের ফাজিলপুর,নোয়াখালী পৌরসভার লক্ষ্মীনারায়ণপুর ও হরিনারায়ণপুরের প্রায় সহস্রাধিক মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদের নামাজ আদায় করে থাকেন।
বেগমগঞ্জের গোপালপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন বিডি২৪লাইভকে জানান, আমাদের বংশ পরম্পরায় আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ইসলামী নির্দেশনা মেনে রোজা রাখি ও দুই ঈদ উদযাপন করি। একই গ্রামের জাহানারা বেগম বিডি২৪লাইভ কে জানান, আমাদের ইবাদাতের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য রোজা রাখি এবং ইবাদাত করি। এতে কখনও কোনো সমস্যা হয় নি।
এ বিষয়ে গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মিন্টু বিডি২৪লাইভকে জানান, বসন্তবাগের একটি অংশের মানুষ অনেক বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখেন এবং ঈদ পালন করেন।এটা নিয়ে কখনও সামাজিকভাবে কোনো সমস্যা হয়নি।ধর্মীয় আচার ও রীতিনীতি মানা হচ্ছে মানুষের বিশ্বাসের ব্যাপার।আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সবাই সবার ধর্ম এবং আদর্শ মেনে চলি।
তবে অনেক মসজিদের ইমামরা বলছে ভিন্ন কথা। ইসলামের মৌলিক পাঁচটি ভিত্তির অন্যতম একটি হলো রোজা। তাই কেউ এটি অস্বীকার করলে কাফের হয়ে যাবে এবং রোজা নিয়ে কটুক্তি করলে ঈমান চলে যাবে। ধনী-গরীব নির্বিশেষে সব বুদ্ধিমান সাবালক-নাবালক মুসলিম নর-নারীর উপর রোজা ফরজ।শরীয়তে কোন ওজর ব্যতীত রোজা না রাখলে কবীরা গুনাহ হবে।সৌদি আবরের সাথে মিল রেখে রোজা রাখা উচিত হয় নি বলে মতামত দেন ইমাম ও খতিবরা।