পাক পার্লামেন্টে তার বিরুদ্ধে বিরোধী জোটের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের কারণ জানাতে গিয়ে ইমরান খানের মুখে এসেছে ‘স্বাধীন বিদেশনীতির’ প্রসঙ্গ। তার সরকারের স্বাধীন বিদেশনীতি অনেকেরই না পছন্দ। তাই বিরোধীদের কাজে লাগিয়ে তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর চক্রান্ত চালাচ্ছে বিদেশি শক্তি। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) জাতির উদ্দেশে ভাষণে এমনটাই অভিযোগ করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তার বক্তৃতায় একাধিকবার এসেছে ভারত এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথা।
এমনকি, চক্রান্তের উদাহরণ দিতে গিয়ে নবাব সিরাজদ্দৌলার বিরুদ্ধে কীভাবে ইংরেজরা মীরজাফরকে কাজে লাগিয়েছিল, সে প্রসঙ্গেরও অবতারণা করেছেন তিনি। পলাশির যুদ্ধে সিরাজের পরাজয় কী ভাবে বিদেশি শক্তির পথ খুলে দিয়েছিল, সে কথাও পাক আমজনতাকে মনে করিয়ে দিয়েছেন। পাক পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে তার বিরুদ্ধে বিরোধী জোটের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ইমরানের মুখে এসেছে ‘স্বাধীন বিদেশনীতির প্রসঙ্গ। তার সেই পদক্ষেপ যে ভারত-বিরোধী নয়, সে কথাও স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি।
ইমরান বলেন, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমাদের বিদেশনীতি স্বাধীন হবে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমরা কারও শক্রু তার মানে এই নয় যে, আমরা আমেরিকা-বিরোধী, ভারত-বিরোধী বা ইউরোপ-বিরোধী হব। ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর তিনি কী ভাবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন, সে কথাও জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তার বিরুদ্ধে চক্রান্তকারী বিরোধীরা দেশের সার্বভৌমত্ব বেচার চক্রান্ত করছে অভিযোগ তুলতে গিয়ে কৌশলে প্রধানমন্ত্রী মোদীর দিকে ইশারা করেছেন ইমরান।
এক ভারতীয় সাংবাদিকের বইয়ের উদাহরণ তুলে ইমরান বলেছেন, ওই বইয়ে সুনির্দিষ্ট ভাবে লেখা আছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আমাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ নেপালে গোপন বৈঠক করেছেন। ঘটনাচক্রে, ইমরানের বিরুদ্ধে পাক পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে নওয়াজের পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ)। বিরোধী জোটের তরফে প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবিদার হিসেবে উঠে এসেছে নওয়াজের ভাই শাহবাজের নাম। সূত্র-আনন্দবাজার।