রাশিয়ার কাছ থেকে আমদানি করা গ্যাসের মুদ্রা রুবলে পরিশোধ করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে ইউরোপীয় দেশগুলো। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুমকি দিয়েছেন, শুক্রবার (১ এপ্রিল) থেকে রুশ গ্যাসের মূল্য রুবলে পরিশোধ না করলে চুক্তি স্থগিত করে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার পাল্টাপাল্টি এই অবস্থানের কারণে ইউরোপে জ্বালানি গ্যাসের সরবরাহ নিয়ে নতুন সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। খবর বিবিসি এ রয়টার্সের।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) তাদের গ্যাসের চাহিদার ৪০ শতাংশ ও তেলের চাহিদার ৩০ শতাংশ রাশিয়ার কাছ থেকে আমদানি করে। সরবরাহ যদি বিঘ্নিত হয় তাহলে সহজে বিকল্প উৎস থেকে জ্বালানির ঘাটতি মোকাবিলার সহজ কোনও পথ তাদের সামনে নেই।
বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে পুতিন বলেছেন, বন্ধুসুলভ নয় এমন দেশগুলোকে রাশিয়ার কাছ থেকে কেনা গ্যাসের মূল্য রুশ মুদ্রা রুবলে পরিশোধ করতে হবে। শুক্রবার (১ এপ্রিল) থেকে ইউরো বা ডলারের বদলে রুবলে গ্যাসের মূল্য পরিশোধ না করলে সরবরাহ বন্ধের বিষয়টি বিবেচনা করবে রাশিয়া।
টেলিভিশনে ভাষণ প্রচার হওয়ার আগে পুতিন একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন। এই ডিক্রিতে শুক্রবার থেকে বিদেশি ক্রেতাদের রুশ গ্যাসের মূল্য রুবলে পরিশোধের কথা বলা হয়েছে।
পুতিন বলেন, রাশিয়ার গ্যাস কিনতে হলে রুশ ব্যাংকে রুবলে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। ১ এপ্রিল থেকে এই অ্যাকাউন্টগুলো থেকেই গ্যাসের মূল্য পরিশোধ করতে হবে। যদি এভাবে মূল্য পরিশোধ করা না হয় তাহলে ক্রেতারা তাদের বাধ্যবাধকতা মানছে বলে আমরা বিবেচনা করব।
তিনি হুমকি দিয়ে বলেছেন, যদি রুবলে মূল্য পরিশোধ করা না হয় তাহলে চুক্তি স্থগিত করা হতে পারে।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘কেউ কোনও কিছু আমাদের বিনামূল্যে দেয় না। আমরাও বিনামূল্যে কিছু দিতে যাব না। এমনটি না হলে চলমান চুক্তি স্থগিত করা হবে।’