এক মাসের ও বেশি সময় অতিক্রম করেছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। যুদ্ধপরিস্থিতি এই দীর্ঘ সময়েও কোনো সমাধানের মুখ দেখেনি। এই সময়ের মধ্যে রাশিয়া যুদ্ধে না জিতলেও ইউক্রেনের বেশ কিছু অঞ্চল দখল করে নিয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর বিপুল পরিমাণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
সর্বশেষ রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সোনার আন্তর্জাতিক রিজার্ভের সঙ্গে জড়িত আর্থিক লেনদেনগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও জি-সেভেন। মূলত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়াতে রাশিয়ার সোনা ব্যবহার করার ক্ষমতা সীমিত করার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার কয়েক বছর ধরে সোনার এই রিজার্ভ গড়ে তুলেছে। বর্তমানে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম সোনার মজুদ রয়েছে রাশিয়ার।এর আগে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ তাদের ওয়েবসাইটে একটি সতর্কবার্তায় জানিয়েছিল, রাশিয়া যেন নিষেধাজ্ঞা এড়াতে না পারে সে জন্য স্বর্ণ সংক্রান্ত রাশিয়ার লেনদেনও যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসতে পারে। এবার সেই সতর্ক বার্তাই সত্যি হলো।
এদিকে, রাশিয়ার বেশ কয়েকটি প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং রাশিয়ার জাতীয় সংসদের শতাধিক সংসদ সদস্য রয়েছেন। মস্কোর ওপর চাপ তৈরি করতেই নতুন এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে জানায় ওয়াশিংটন। এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস বলেছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধ মেশিনের শক্তিকে লক্ষ্য করেই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো। রাশিয়ার সর্ববৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ‘এসবের ব্যাংক’-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হারমান গ্রেফও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন।