রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর হামলায় বিধ্বস্ত ইউক্রেন। তারই মধ্যে শরণার্থী সীমান্ত অতিক্রম করে ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশ করার সময় ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় ২৪১ কোটি টাকা নিয়ে ধরা প়ড়লেন দেশটির বিতর্কিত রাজনীতিবিদ ইগর কোটভিটস্কির স্ত্রী আনাস্তাসিয়া কোটভিটস্কার। ডলার এবং ইউরো মিলিয়ে এই বিপুল অর্থ ইউক্রেন থেকে পাচার করা হয়েছে বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ।
আনাস্তাসিয়া ইউক্রেনের বিশিষ্ট বিত্তশালী তথা বিতর্কিত সাবেক সাংসদ ইগর কোটভিটস্কির স্ত্রী। টাকা পাচার করার সময় তা হাঙ্গেরির আবগারি দপ্তরের নজরে পড়ে। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ থেকে বড় অংকের এই অর্থ পাচারের চেষ্টা করার জন্য আনাস্তাসিয়ার বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে ইউক্রেনের রাজধানী কিভের একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
কিভের অন্য এক ব্যবসায়ী সেয়ার খুশুতভ এই টাকা পাচারের বিষয়টি জনসমক্ষে নিয়ে আসেন। অন্যদিকে, ইগর জানিয়েছেন যে, তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তিনি সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য দেশ ছাড়ছেন। তবে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে যাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার আগে ইগর বলেন, ‘আমার সমস্ত টাকা ইউক্রেনের ব্যাংকে আছে। আমি কিছুই বের করিনি।’
ইগরের প্রথম পক্ষের মেয়েও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে আনাস্তাসিয়া অভিযোগ নিয়ে বিশেষ কোনো মন্তব্য করেননি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, তিনি ইউক্রেনের ভিলক চেকপয়েন্ট দিয়ে দেশ ছাড়ার সময় এই বিপুল পরিমাণ টাকার কথা জানাননি। কিন্তু পরে হাঙ্গেরিতে পৌঁছে টাকা নিয়ে আসার কথা জানান।
এরইমধ্যে গুজব উঠেছে, রাাশিয়ার সঙ্গে সংঘাতের জেরে ইউক্রেনের বিত্তশালীরা নিজেদের অর্থ নিয়ে বিদেশে পালাতে চাইছেন। ইগর ইউক্রেনের পারমাণু শক্তি দ্বারা চালিত ব্যবস্থাগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন। তা ছাড়াও তিনি ইউক্রেনের ইউরেনিয়ামের মজুত করার বিভিন্ন বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করেন। কিন্তু বর্তমানে রাশিয়া এই মজুতের বেশ খানিকটা দখল করেছে।
ইউক্রেনের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর্সেন অ্যাভাকভের সঙ্গেও ইগর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক আছে। ইতোমধ্যে ভিলক চেকপয়েন্টের সীমান্তরক্ষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো হবে বলেও জানা গেছে। কারণ মনে করা হচ্ছে, টাকা পাচার করার বিষয়ে তারা অবগত ছিলেন।