রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিশেষ দূত আনাতোলি চুবাইস পদত্যাগ করে রাশিয়া ছেড়ে চলে গেছেন। রাশিয়ান গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আনাতোলি চুবাইস তুরস্কে তার স্ত্রীর সঙ্গে আছেন। চুবাইসের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, তিনি যুদ্ধের প্রতিবাদস্বরূপ পদত্যাগ করেছেন। খবর রয়টার্স, বিবিসি।
আন্তর্জাতিকভাবে রাশিয়ার টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন চুবাইস। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, চুবাইস স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। তবে তিনি রাশিয়া ছাড়বেন নাকি থাকবেন, তা তার ব্যক্তিগত বিষয়। পদত্যাগের বিষয়ে কিছু বলেননি চুবাইস।
বিবিসির খবরে বলা হয়, সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহে পেসকভ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ছাড়া পুতিনের ঘনিষ্ঠ অল্প কয়েকজনকে জনসমক্ষে দেখা গেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখায়লো পোদোলিয়াক গত বুধবার বলেন, এটা কৌতূহলপূর্ণ বিষয় যে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা শীর্ষ দুই কর্মকর্তা প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ও চিফ অফ স্টাফ ভালেরি গেরাসিমভকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানদেরও দেখা যাচ্ছে না।
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ১৯৯০ সালে রাশিয়ার অর্থনৈতিক সংস্কারে ভূমিকার জন্য আলোচনায় ছিলেন চুবাইস। প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিনের শাসনামলে বেসরকারি খাতে উন্নয়ন করেন তিনি।
চুবাইস পদত্যাগ করায় বিরোধী দলের নেতাদের ওপর তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর তিনি বিরোধী দলের নেতা বরিস নেমতসভ নামের এক ব্যক্তির ছবি পোস্ট করেন। ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছিল। এ নিয়ে যথেষ্ট সমালোচনা হয়।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। এটিকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলছে রাশিয়া। যুদ্ধের বিরুদ্ধে রাশিয়ার বেশ কিছু এলাকায় বিক্ষোভ হয়েছে। চ্যানেল ওয়ানের এক সাংবাদিক সরাসরি সংবাদ সম্প্রচারের সময় প্ল্যাকার্ড হাতে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ করেছেন।
রাশিয়ায় একটি নতুন আইনে যুদ্ধ সম্পর্কে মিথ্যা খবর প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ইউক্রেনের দক্ষিণে মারিউপোলে মা ও শিশু হাসপাতালে হামলা চালানোর খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করায় সাংবাদিক আলেকজান্দার নেভজোরভকে বিচারের সম্মুখীন করা হয়েছে।